মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
মুখে কালো রং মেখে শ্রমিক ধর্মঘটের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বললেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এসব অরাজকতা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় ‘ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কেন?’, ‘আলকাতরা সন্ত্রাস নিপাত যাক’, ‘দেশের বুকে চুনকালি শ্রমিক নেতার নেই বুলি’, ‘স্কুল ড্রেসে কালি কেন?’, ‘কালি নাকি কলঙ্ক?’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিতকরণ, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি না করা ও অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী বহনকারী গাড়ির অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একজন শ্রমিকনেতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, কিন্তু তিনি বলেছেন আন্দোলন সম্পর্কে কিছু জানেন না। তিনি একদিকে শ্রমিক নেতা অন্যদিকে মন্ত্রী। যখন সংসদে আইনটি পাস হয়েছে, তখন তিনি এটিকে সমর্থনও করেছেন। আবার তিনি কেন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন? আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এটা কোনো আন্দোলনের আচরণ হতে পারে না।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ বলেন, ‘সংবিধান যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের আন্দোলন করার অধিকার দিয়েছে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে তারা আন্দোলনের নামে কোনো নাগরিকের চলাফেরা করার অধিকার এবং তাদের পধ অবরোধ করার অধিকার সংবিধান তাদের দেওয়া হয়নি। ধর্মঘটের কারণে যে শিশুটি মারা গেছে, এটাকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে পারি না। এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। আমরা শ্রমিকদের আন্দোলনের বিপক্ষে না। কিন্ত এ ধরনের অরাজকতা কোনো শ্রমিক করতে পারে না। এ ধরনের অপকর্মগুলো সরকারের একটি মাফিয়া চক্র দ্বারা করা হচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এসব অরাজকতা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’