জাবি সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন আজ
পাঁচ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী তিন বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলেও এবার পাঁচ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে।
গত ২৭ আগস্ট এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের তত্ত্বাবধায়ক আবু বকর সিদ্দিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনপন্থী বলে পরিচিত আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ নামে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
অন্যদিকে বিএনপিপন্থী, বামপন্থীদের একাংশ এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি পক্ষ নিয়ে গঠিত আরেকটি প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ নামে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ দুটি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্র আটজন প্রার্থীসহ মোট ৭৪ জন শিক্ষক ৩৩টি পদের বিপরীতে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ প্যানেলের প্রার্থী অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকরা সব বিভেদ ভুলে এক প্যানলে থেকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন হবে। আশা করি, আমাদের প্যানেলের সব প্রার্থীই বিজয়ী হবেন।’
অন্যদিকে ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের’ প্রার্থী অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আসলে বর্তমান প্রশাসনের অপকর্মের বিরুদ্ধেই আমাদের এ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থ এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজগুলোকে গতিশীল করতে একটি শক্তিশালী বিরোধীপক্ষ থাকা দরকার। সে জায়গা থেকে আমরা আমাদের প্যানেলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এবার একটি ইতিবাচক পরিবেশের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের প্রচারণা চলছে, এটা খুব ভালো একটা দিক। আমি আমার সহকর্মীদের কাছে গিয়েছি, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। এখন তাঁরাই বিবেচনা করে দেখবেন। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব।’