ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর মধ্যরাতে জাবিতে পুলিশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে আশুলিয়া থানার তিন প্লাটুন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।
প্রক্টর বলেন, ‘কিছু পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করছে। কিছু টহলরত অবস্থায় আছে। আর কিছু পুলিশ সাদা পোশাকে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছে।’
প্রক্টর আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তল্লাশি চালানো সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে ভাবছি। পরিস্থিতি বুঝে হলগুলোতে তল্লাশি চালানো হবে। এ ছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল জাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলকে লাঞ্ছিত করেন। পরে দুজনই জড়িয়ে পড়েন বাকবিতণ্ডায়। এরপর প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান কয়েকজন সহকারী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে রাজীব আহমেদ রাসেলের অনুসারীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলে অবস্থানরত আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে আক্রমণ করতে যান।
পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় ওই দুপক্ষের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
সংঘর্ষ চলাকালে ছয়টি গুলির শব্দ শোনা গেছে বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আহত হন। এ ছাড়া এই সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ছয়জন আহত হয়েছেন।