উত্তরার চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে রাজধানীর উত্তরার চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাঠে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী খৈয়াম, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আকরাম হোসেন রুবেল ও চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও স্কুলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
এরপর অতিথির কাছ থেকে অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। শুরু হয় মার্চ পাস্ট। নেতৃত্ব দেন প্যারেড কমান্ডার স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা সুমি। এতে স্কুলের প্লে শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়।
মার্চ পাস্ট শেষে দেশাত্মবোধকসহ তিনটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা।
অতিথিদের স্মারক উপহার ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ শিক্ষার্থীদের সুন্দর মার্চ পাস্ট দেখে প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সবার কল্যাণ কামনা করেন।
এরপর শুরু হয় শ্রেণিভিত্তিক ও ছাত্রছাত্রীদের পৃথক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় কী ছিল না! ৫০ মিটার দৌড় থেকে শুরু করে বেলুন দৌড়, চকলেট কুড়ানো, গুপ্তধন উদ্ধার, ব্যাঙ লাফ, স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা, গণিত দৌড়, নাম সংগ্রহ, মোরগ লড়াই, দীর্ঘ লাফ, টেনিস বল নিক্ষেপ, দড়ি লাফ, চামচ দৌড়, সুঁই সুতা, ভারসাম্য দৌড় প্রতিযোগিতা।
খেলা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মেডেল পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা জিততে পারেনি তাদের দেওয়া হয় সান্ত্বনা পুরস্কার। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা শেষে ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। এজন্যও পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল।
স্কুলের শিক্ষিকাদের জন্য ছিল ১০০ মিটার দৌড়, টেনিস বল নিক্ষেপ ও পিলো পাসিং। পুরুষ অভিভাবকদের জন্য ছিল বেলুন সংরক্ষণ। নারী অভিভাবকদের জন্য ছিল পিলো পাসিং খেলা। কর্মচারীদের জন্য ছিল চামচ দৌড় প্রতিযোগিতা।