ডাকসু নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট থাকছে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে পোলিং এজেন্টের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও এই নিয়ম মানছে না নির্বাচন কমিশন। ফলে নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন প্রার্থীরা।
এ বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সব আমাদের নিয়ম করা আছে। এসব বিষয় আমাদের হলের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দেখবেন।’
এদিকে ডাকসুর আচরণবিধির ১১-এর (খ) ধারায় পোলিং এজেন্টের বিষয়টি উল্লেখ আছে। এর আগে নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট রাখার দাবিও জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে জহুরুল হক হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির জানান, পোলিং এজেন্ট থাকবে না। পোলিং অফিসার থাকবে, উনারা সব কিছু করবেন।
এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট থাকার বিষয়ে নিয়ম থাকলেও আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। সব হলেই আমাদের পোলিং এজেন্ট প্রস্তুত আছে। পোলিং এজেন্ট না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মনে করছি। পোলিং এজেন্ট না থাকলে জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকে।’
একই অভিযোগ ডাকসুর স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের জিএস প্রার্থী ও ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ আর এম আসিফুর রহমান এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনের।
এদিকে আচরণবিধির ১১ এর (খ) ধারায় উল্লেখ আছে- নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করবেন।