রোকেয়া হলে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোট শুরু
ছাত্রীদের রোকেয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে কেন এক ঘণ্টা পর এই ভোট গ্রহণ শুরু হলো, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলে একযোগে ভোট শুরু হলেও রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট শুরু করা যায়নি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর রোকেয়া হলের ভোট শুরু হলেও সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কুয়েত মৈত্রী হলের ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি।
ভোট গ্রহণ দেরিতে শুরু হওয়ার ব্যাপারে রোকেয়া হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, ‘আমি এসব জানি না। ভেতর থেকে আমাকে জানিয়েছে, ভোট ৯টার দিকে শুরু হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’
ভোটকক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভেতরে এখন ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আমি ভোটকক্ষের ভেতর থেকে অনুমতি পেলে আপনাদের জানাব।’
বেগম রোকেয়া হলে এক ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ—এমনটাই বললেন ভোট দিয়ে আসা হলের ছাত্রী শারমিন জাহান সেতু। তাঁর ভোটার নম্বর ২৫০৫।
তিনি আরো বলেন, সকাল ৮টা থেকেই এই হলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। কিন্তু লাইন সামনে এগোচ্ছিল না।
রোকেয়া হলের সমাজসেবা পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘সকাল ৮টার সময় আমরা হলের প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে গেলাম। তখন ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ছয়টি ব্যালট বাক্স ছিল। কিন্তু থাকার কথা ছিল নয়টি। আমরা ব্যালট বাক্স দেখতে চাইলাম। কিন্তু হলের প্রভোস্ট জিন্নাত হুদা আমাদের প্রথমে ব্যালট বাক্স দেখাতে চাননি। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমাদের মাত্র তিনটি ব্যালট বাক্স খুলে দেখিয়েছিল। বাকি তিনটা দেখতে দেয়নি।’
‘কেন আমাদের ব্যালট বাক্স দেখাবেন না, বাকিগুলো কেন দেখতে পারব না—জানতে চাইলে প্রভোস্ট ম্যাম বলেন, ব্যালট বক্স খুলে দেখাতে হবে, সেটার আচরণবিধি তিনি দেখেননি। তাঁর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে বলেন। তখন ঝামেলা হয়। ভোট বন্ধ থাকে এক ঘণ্টা,’ যোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন।
রোকেয়া হলে স্বতন্ত্রভাবে সদস্য পদে লড়ছেন প্রমিক হিসা। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। এখানে ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন আছে। মোট নয়টা ব্যালট বক্স থাকার কথা থাকলেও আছে ছয়টা। বাকি তিনটার কোনো খোঁজ আমরা পাচ্ছি না।’