ছাত্রলীগ নেতার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জাবি উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টা সময়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দিন। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এই নিয়োগ বাতিল না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাও এ আন্দোলন কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরিরত ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হোসেন দীপুর নিয়োগ বাতিল দাবি করেছেন শিক্ষকরা। ফয়সাল হোসেন দীপু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরোধিতা সত্ত্বেও শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ফয়সাল হোসেন দীপুকে নিয়োগ দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন উপাচার্য। এখন আমরা আবার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার অনুরোধ করছি উপাচার্যকে। দাবি না মানা হলে কর্মবিরতিতে যাব আমরা।’
আলটিমেটাম সম্পর্কে উপাচার্যকে জানানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে খবির উদ্দিন বলেন, ‘মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে উপাচার্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব। তখন থেকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শুরু হবে।’
আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা এ আন্দোলনের আওতাভুক্ত থাকবে বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। ফলে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষকদের বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ১৩ জুলাই ঈদুল ফিতরের ছুটির আগের শেষ কর্মদিবসে উপাচার্যের একক ক্ষমতাবলে চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন উপাচার্য। তখন ফয়সাল হোসেন দীপুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। ফয়সাল হোসেন দীপুর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তাঁকে নিয়োগ না দিতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেন শিক্ষকরা।
পরে ৩ আগস্ট দীপু বাদে বাকি পাঁচজন নিজ নিজ পদে যোগ দিলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার কারণে গ্রন্থাগারে যোগ দিতে পারেননি ফয়সাল হোসেন দীপু। পরে আগের নিয়োগ বাতিল করে গত ২৩ আগস্ট দীপুকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পুনরায় নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।