ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/19/photo-1558264344.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তিনি রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আজ রোববার দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান শ্রাবণী দিশা। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মধ্যে অন্যতম।
শ্রাবণী দিশা বলেন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস কে রিমা তাঁকে ফোন দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কথা বলতে চান। সন্ধ্যায় রিমা হাতিরপুলের একটি বাসায় শ্রাবণী দিশার কাছে যান। কিন্তু রিমার আচরণ দেখে তিনি বুঝতে পারেন নওফেলের কথা বলে তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এ সময় তড়িঘড়ি করে রিমা বেরিয়ে যান। পরে তাঁরা জানতে পারেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন।
পরে এই ঘটনায় শ্রাবণী দিশা শাহবাগ জিডি করতে যান। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বদরুন্নেছা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এস কে রিমা বলেন, ‘নওফেল আমার কাছে ফোন করে শ্রাবণী দিশার নম্বর চান এবং শ্রাবণী দিশা আমাকে ফোন দিয়ে হাতিরপুলে একটি বাসায় যেতে বলেন। আমি সেখানে গেলে তাঁর সঙ্গে আমার স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়। কিন্তু অপহরণের কী হলো এখানে বুঝতেছি না।’
সংবাদ সম্মেলনে শ্রাবণী দিশা বলেন, এখন পর্যন্ত যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যার কারণে তিনি এখনও শঙ্কিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন।
গত সোমবারের মধুর ক্যান্টিনে হামলার সঙ্গে এই অপহরণ চেষ্টার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রাবণী দিশা বলেন, ছাত্রলীগকে বিতর্কিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, শ্রাবণী দিশা অপহরণের বিষয়ে জিডি করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন।
গত সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ওই মিছিলে হামলা চালান পদ পাওয়া কয়েকজন নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা। ওই সময় শ্রাবণী দিশার চোখে আঘাত লাগে এবং রক্তাক্ত হন তিনি। হামলায় ছাত্রলীগের পাঁচ-সাতজন আহত হয়।