‘দেশের কর্ণধারদের উল্টাপাল্টা কথা খুনিদের উৎসাহিত করছে’
দেশের কর্ণধার হিসেবে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের আরো সংযত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের হত্যার প্রতিবাদে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনরা।
সরকারের দায়িত্বশীলদের কেউ যেন উল্টাপাল্টা কথা বলে সাধারণ মানুষকে ক্ষিপ্ত না করেন সেদিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় যে, খুন হয়েছে, হচ্ছে আরো হবে। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
বক্তারা বলেন, উল্টো সরকারের দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলছেন, যা খুনিদের আরো বেশি উৎসাহিত করছে। পুলিশ ভুলে গেছে তাদের কাজ কী। এভাবে কোনো রাষ্ট্র চলতে পারে না। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে খুনিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান, ড. রফিকুল্লাহ খান, ড. হাবিবা রহমান, অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, ড. মিজানুর রহমান, ডা. ইমরান এইচ সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীপনের বাবা বিচার চান না, এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অন্তরের ক্ষোভটি প্রকাশ করেছেন। দেশের চলমান অবস্থার জানান দিয়েছেন। অথচ সরকারের দায়িত্বশীলরা এটি নিয়ে উল্টাপাল্টা প্রলাপ বকছেন। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। দীপনের বাবা বিচার চান না, তাঁর স্ত্রী বিচার চান না কিন্তু আমরা বিচার চাই। প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে দেশ গোল্লায় যাবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রের এমন সুবিধাবাদী আচরণকে দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
এ সময় আগামীকাল মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হক। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন এবং দুপুর ১২টায় একই জায়গায় প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ।