জবির শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পাঁচ শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের রায়সাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে। তীব্র ভোগান্তিতে পরেন সদরঘাটগামী যাত্রীরা।
এরপর প্রক্টরের আশ্বাসে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেট দখল করে থাকা অবৈধ লেগুনা ও মিনি বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদের করেন। এ সময় বেশ কয়েকটা লেগুনা ও মিনিবাস ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দ্বিতীয় গেটটি তালা ভেঙে খুলে দেন।
এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, র্যাবের হামলার বিচার অতিদ্রুত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, র্যাব কর্তৃপক্ষ আজ দুপুর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। তাঁরা এসে ভিসি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসলে এর সমাধান করা হবে।
এ ছাড়া লেগুনা ও মিনি বাস ভাঙচুর এর বিষয়ে প্রক্টর বলেন, এখানে কোনো বাসস্ট্যান্ড থাকবে না। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে এক সপ্তাহের মাঝে তা সরিয়ে দেওয়া হবে এবং আজকে যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে। এরা গরিব মানুষ, এ দিয়ে তাঁরা তাদের পরিবার চালান। এটা ভাঙচুর করার অধিকার তো কারো নাই। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে লেগুনা ও মিনি বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
অভিযোগ রয়েছে, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী পরিবহনকারী উত্তরণ-২ বাসটি সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র্যাব ১০-এর একটি গাড়ি ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ বন্ধ করে আড়াআড়ি দাঁড়িয়েছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি সরাতে বললে ওই গাড়ি থেকে কয়েকজন র্যাব সদস্য নেমে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ ঘটনায় একজন গুরুত্বরসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। যদিও এ ব্যাপারে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।