জাবিতে ‘ছাত্রদল’ কর্মীকে পেটাল ছাত্রলীগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘ছাত্রদলের’ এক কর্মীকে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার নাহিদ বিন ওয়াহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মোশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত নাহিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ এমবিএ চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা দিয়ে হলে ফিরছিলেন নাহিদ। পরে পরিবহন চত্বরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলের নেতৃত্বে উপপরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, সহসম্পাদক অনিক কুমার, রফিক জব্বার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নওশাদ আলম অনিক, আল বেরুনী হল (সম্প্রসারিত ভবন) শাখার সভাপতি সুমন সরকারসহ জুনিয়র কর্মীরা বাঁশ, চাকায় ব্যবহৃত রাবারের টিউব দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান নাহিদ।
মারধরের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসিনুর রহমান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিদুর রহমান আকন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলকর্মী অভিযোগে নাহিদকে মারধর করা হলেও এর আগে বিভিন্ন সময় তাঁকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ মারামারিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
মারধরের কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহেমেদ রাসেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নাহিদ চিহ্নিত অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী। এর আগে বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ক্যাম্পাসে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। আজ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরের মতো জনবহুল স্থানে আসায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে।
তবে মারধরের শিকার নাহিদ বিন ওয়াহিদ ছাত্রদল কর্মী নন দাবি করে বলেন ‘ছাত্রদল করার কারণে নয় বরং আমাকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারা হয়েছে। গত বছর আমাদের হলে হামলা করতে এলে তাঁকে বাধা দিয়েছিলাম বলে সে তাঁর প্রতিশোধ নিয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘এ বিষয়ে যতদূর জেনেছি তাতে মনে হয়েছে যে ছাত্রদল করার কারণে নয়, বরং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই নাহিদকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও একই জায়গায় ছাত্রদলের কর্মী সাদ্দাম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম পাপ্পুকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করে। পরে তাঁদের পুলিশে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। আজ তাঁদের আগের একটি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা।