রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী আহত হন।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী গোলাম রাব্বানি রবি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী রাশেদুল ইসলাম রকিও কয়েকজনকে নিয়ে বিপরীত দিক থেকে হেঁটে আসছিলেন। এ সময় রবিকে ডেকে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন করায় তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রবিকে মারধর করেন রকি ও তাঁর সহযোগীরা।
রবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে রুনুর অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুস্ময়, সহসম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সজীবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে যান। সেখানে রকি ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে তাঁদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রকি ও তাঁর সহযোগী গোলাম মওলা বিপ্লবকে মারধর করেন সুস্ময় ও তাঁর সহযোগীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হোসেন, হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। মারামারিতে আহত রকি ও রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনার জেরে দুপুরে সভাপতি মিজানুর রহমান রানার পক্ষের নেতা-কর্মী ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুনুর পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ছাত্রলীগের নেতা সুস্ময় বলেন, ‘আমার ছোটভাই রবি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় রকিসহ অন্যরা তাদের বাজে ভাষায় কথা বলে এবং মারধর করে। এটা শোনার পর বিষয়টি নিয়ে সেখানে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাদের মারার চেষ্টা করলে আমরাও তাদের মারি।’
ছাত্রলীগকর্মী রকি বলেন,‘রবির কাছে আমি জানতে চাই আজ ক্যাম্পাসে কোন ইউনিটের ভাইভা হচ্ছে? এরপর সে আমার জুনিয়র হয়েও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং আমাকে চর মারে। তখন আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর সাবরুন জামিলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন এসে আমাদের দুজনকে মারধর করে।’
নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’