ব্রিটিশ গ্রন্থাগারে বাংলাদেশির নামে বিশেষ কর্নার
“গর্ব, আনন্দ ও বিব্রতকর অনুভূতি নিয়ে এটি শেয়ার করছি। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দিন আজ। আজকে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের ব্রিটিশ লাইব্রেরি ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এ আমার নামে ‘মনি কর্নার’ উদ্বোধন হলো।” স্যোসাল মিডিয়ায় এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক মনি।
গত ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের সাসেক্স ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে এ কর্নারটি উদ্বোধন করা হয়। এই গ্রন্থাগার উন্নয়ন বিষয়ক বই সংগ্রহের দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, যা ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে অবস্থিত। এই কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে মনির তিনটি বিশেষ অর্জনকে সম্মান দেখিয়ে।
প্রথমত
২০১৬ সালের শুরুতে যুক্তরাজ্য সরকার পাবলিক লাইব্রেরির জন্য ফান্ড বন্ধ করে দিলে এই গ্রন্থাগার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তখন মনি কিছু ছাত্রছাত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ছোট চলচ্চিত্র বানিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে অল্প অর্থায়ন হলেও এ গ্রন্থাগার চালু রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দ্বিতীয়ত
এ বছরের এপ্রিল মাসে মনি তাঁর একক ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে এখানাকার স্থানীয় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান করেছিলেন। এতে অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও অবদান ছিল।
তৃতীয়ত
সম্প্রতি মনি একটি অলাভজনক অনলাইন কমিউনিটি তৈরি করেছেন। যা ‘সে ফর ডেভেলপমেন্ট’ নামে পরিচিত। উন্নয়ন নিয়ে যারা চিন্তা করেন তাঁদের মাঝে ভালোবাসা ও সহানুভূতির কথা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তিনি এই কমিউনিটি তৈরি করেছেন।
‘মনি কর্নারে’ কিছু বাঁধাই করা ছবিসহ দুটি অ্যালবামে এক বছরে যুক্তরাজ্যে তাঁর তোলা ২৮০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। এ ছাড়া পুরো লাইব্রেরিতে আরো ১৭টি ছবি টাঙানো হয়েছে।
মাহমুদুল হক মনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) সদস্য। বর্তমানে তিনি শিভেনিং স্কলারশিপে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সে ‘গভার্নেন্স ও উন্নয়ন’ বিষয়ে মাস্টার্স করছেন।