সামসুল হক খান স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফিনিক্স পাখির মতো : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি আলোকিত নাম, একটি বিস্ময়। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফিনিক্স পাখির মতো। অনেকটা এলাম দেখলাম জয় করলাম। তাদের একাডেমিক ফলাফল এবং বিভিন্ন যোগ্যতায় সেটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষাসপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর ভেতরে অনেক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে ডেমরার এ প্রতিষ্ঠানটি এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-ছাত্রীরা ধারাবাহিক সাফল্যতা দেখিয়ে চলেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সফলতার পেছনে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান মোল্লার ভূয়সী প্রশংসা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের কর্মজীবনে আমি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখেছি কিন্তু কোনটিই ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নয়। এটি একটি আলোকিত ও বিস্ময়কর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লার অত্যন্ত যোগ্য ও বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাওয়ার বড় কারণ। ক্রমাগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিকাশ লাভ করেছে। ২০১২, ২০১৫, ২০০৭ সাল এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ সময়। উক্ত বছরগুলোতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা বোর্ডে এসএসসিতে ১ম ও ২য় স্থান অধিকার করে এবং এইচএসসিতে ১ম স্থান অধিকার করে। আজকের এ প্রতিষ্ঠানটি ক্লাব ফেস্টিভ্যাল ও বিভিন্ন ক্লাবের স্টলগুলো দেখে আন্তর্জাতিক মানের কোন ফেয়ার মনে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভূমিকা পালন করবে, যা দেখে বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কঠোর সাধনায় এ প্রতিষ্ঠান সাফল্যের শিখরে উঠে এসেছে । প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত কৃতিত্ব অর্জন গোটা দেশকে আকর্ষণ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে সারা দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে তাই এটি এক টুকরো মিনি বাংলাদেশ। আমরা শিক্ষার্থীদের হাসি-কান্নার সাথে জড়িয়ে থাকি। এ প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে গিয়ে পৌঁছেছে, দেশ-বিদেশে যারা গবেষণায় তাদের সংখ্যাও কম নয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য প্রধান অতিথির কাছে খেলার মাঠের দাবি তুলে ধরেন। যার নাম হবে শেখ রাসেল পার্ক ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, সম্মাননা ক্রেস্ট ও অভিনন্দন সনদ প্রদান করেন। প্রাণবন্ত এই ক্লাব ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী, রাজধানীর ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।