জনগণের ভালোবাসা দেখার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছি : জায়েদা খাতুন
গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল হলেও টিকে গেছে তার মা জায়েদা খাতুনেরটি। সাবেক মেয়রের কর্মী সমর্থকরা এখন তার মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। এ নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। এমনকি ছেলের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার (৬ মে) দুপুরে মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় অবস্থিত জাহাঙ্গীরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জায়েদা খাতুন এসব কথা বলেন। এ সময় তার ছেলে সাবেক মেয়র সঙ্গেই ছিলেন।
জায়েদা খাতুন বলেন, ‘জনগণ আমাদের মা-ছেলেকে কেমন ভালোবাসে, তা দেখার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছি। যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে রাস্তাসহ যে কাজগুলো পড়ে আছে সেগুলো শেষ করব। যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, কারচুপি ও দুর্নীতি না হয় তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ৫৭টি ওয়ার্ডের মানুষ আমার সঙ্গে আছে, থাকবে ইনশাল্লাহ।’
ছেলে জাহাঙ্গীরের প্রসঙ্গ টেনে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘একটি মহল মিথ্যা ও ভুয়া কথায় ফেলে আমার ছেলেকে ১৮ মাস ধরে স্তব্ধ করে রেখেছে। সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তারা। আমার ছেলে কোনো দুর্নীতি করেনি। সেই শিক্ষা তাকে দেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় তাকে (জাহাঙ্গীর) আমি বলতাম যে দিক দিয়ে হেঁটে যাবে সে দিকের একটি গাছের পাতাও ছিঁড়বে না। অন্যের গাছের ফলের দিকেও তাকাবে না। তাই আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মহল নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে জানিয়ে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘প্রচারণা শুরু হলে সব ওয়ার্ডেই যাব। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। সব পেশার মানুষের কাছে ভোট চাইব। আমার চাওয়া পাওয়া তাদের কাছে বলব। আশা করি, সবার সমর্থন পাব।’
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৮ মে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরের দিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু করবেন। এবারের গাজীপুরের নির্বাচন হবে ইভিএমে। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, যার মাধ্যমে পুরো নির্বাচনকে মনিটরিং করা হবে।