ফরিদপুরের উপনির্বাচনের ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তুষ্ট’ সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ফরিদপুর-২ উপনির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। আমরা সন্তুষ্ট।’
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণকালে এ কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি কেমন বলতে পারব না। তবে, খুব বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হয়নি। যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে হবে, কোনো অনিয়ম হবে না। সে দিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি, এক হাজার ৫২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘আমরা যা দেখিছি, ভাল দেখছি। আমরা যে ফ্যাক্টগুলো দেখছি, তাই আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে তুলে ধরছি জনগণের সামনে। এতে জনগণের সঙ্গে যে সংযোগটা হচ্ছে, এতে করে এক ধরণের আস্থা জনগণের মাঝে তৈরি হচ্ছে।’
সিইসি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার একটা ইতিবাচক দিক আছে, প্রার্থীরাও এটা বলছেন। আমি বলব যে, নতুন একটি সংযোজন নিয়ন্ত্রণ এবং ইলেকশন গর্ভন্যান্সকে প্রতিষ্ঠা করছে।’
ফরিদপুর-২ আসনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদাব আকবর ও বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া।
নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এতে তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার ১২৩টি ভোটকক্ষের ৮০৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।