সিটি নির্বাচন : পথসভা করার ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে পুলিশকে
এখনও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়নি। তবে, শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে নানা বিষয়ে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল পথসভা বা ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো সভা করতে পারবে না। অন্যদিকে, পথসভা বা ঘরোয়া সভা করতে হলে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত কিছু নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে। সেই নির্দেশনায় এ নির্বাচনি আইনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান আতিয়ার রহমান।
নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পথসভা ও ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না।
আইনের কথা স্মরণ করিয়ে নির্দশনায় বলা হয়েছে, পথসভা বা ঘরোয়া সভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, প্রার্থীরা জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো সড়কে পথসভা করতে পারবেন না বা এই উদ্দেশ্যে কোনো মঞ্চ তৈরি করতে পারবেন না। প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা তাতে বাধা প্রদান বা কোনো গোলোযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন না। কোনো পথসভা বা ঘরোয়া সভা অনুষ্ঠানে বাধাপ্রদানকারী বা অন্য কোনোভাবে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের শরণাপন্ন হবেন এবং এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না।
নির্বাচনি প্রচার এখনও শুরু হয়নি। প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বর্তমানে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আপিল কার্যক্রম চলছে, আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। অর্থাৎ এ সিটিতে প্রচার চালানো যাবে ৯ মে থেকে।
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোটগ্রহণ ১২ জুন। এই দুই সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোটগ্রহণ ২১ জুন। এই দুই সিটি নির্বাচনে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।
নির্বাচনী আচরণবিধি না মানলে জেল, জরিমানা, এমনকি প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।