ইউএনও-থানা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ শুরু আজ, বেড়েছে ব্যয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আগামী নভেম্বরের শুরুতে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে। সংসদ নির্বাচনের মতো এমন বড় একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন ভোটগ্রহণের আগে তাদের প্রশিক্ষণও। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যয় করবে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা, যা আগের তুলনায় বেশি। ‘দ্রব্যমূল্য আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যয়ও আগের চেয়ে বেড়েছে’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, আগামীকাল রোববার (১ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের মোট ৪৯২ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৫২২ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) তত্ত্বাবধায়নে মোট এক হাজার ১৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি ব্যাচে মোট ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের প্রত্যেককে দুদিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব প্রশিক্ষণার্থীরা মূলত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। ফলে, নির্বাচনের তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কাল থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি ব্যাচে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মোট এক হাজার ১৪ জনকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গত ২ সেস্টেম্বর থেকে আরও উপজেলা পর্যায়ের কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যয় করবে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। প্রায় দশ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যয়ও আগের চেয়ে বেড়েছে।’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একজন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দুজন এবং ভোটকক্ষ প্রতি দুজন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্রে প্রতি অন্তত আট থেকে ১০ জন পোলিং অফিসার প্রয়োজন হয়। এবার জাতীয় নির্বাচনে অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার লোকবল প্রস্তুত রাখা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের বিষয় রয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকর্তাদের সামগ্রিক নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ হলে আরও অনেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যারা নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে কাজ করবেন। দেখে নেওয়া যাক, এ এক হাজার ১৪ জনকে কী কী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যেসব বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে
• গণবিজ্ঞপ্তি জারি, ভোটকেন্দ্রের যাতায়াত, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খোঁজখবর নেওয়া। অনলাইনে মনোনয়নপত্র বিতরণ। অনলাইনে ফরম পূরণের বিষয়ে প্রার্থীদের সহযোগীতার জন্য হেল্প ডেস্কসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান।
• রিটার্নিং অফিসারের সীল, রেজিস্টার, ইত্যাদি তৈরি। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন, চূড়ান্তকরণ এবং কমিশনে প্রেরণ। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণের প্যানেল তৈরির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পত্র প্রেরণ, তালিকা সংগ্রহ ও প্যানেল প্রস্তুত ও কমিশনে প্রেরণ। নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের ম্যাপ প্রস্তুত।
• নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক সভা, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, এনএসআই, ডিজিএফআই ইত্যাদি বাহিনীর সমন্বয়।
• মনোনয়নপত্র গ্রহণের স্থান নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (আইন-শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন), মনোনয়নপত্র গ্রহণের সহযোগীতার জন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী অফিস আদেশ, মনোনয়নপত্র গ্রহন ও সংরক্ষণ।
• মনোনয়নপত্রের গ্রহণের নির্ধারিত সময়ের শেষে নির্বাচন কমিশনে আসন ভিত্তিক তথ্য প্রেরণ, তালিকা ফরম-৪ প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দাখিলকারীর তালিকা প্রেরণ। বিভিন্ন সরকারী সংস্থা, আইন-শৃংখলা বাহিনী ইত্যাদির নিকট প্রার্থীর ঋণ খেলাপি, বিল খেলাপি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইত্যাদি অযোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ।
• স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ ভোটার সমর্থন সংক্রান্ত দাখিলকৃত তালিকা যাচাইয়ের জন্য কমিশন তালিকা প্রেরণ। কমিশন কর্তৃক দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রদত্ত ১০জন ভোটারের তালিকা সরেজমিনে তদন্তের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও বাছাই এর আগেই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ, তদন্ত পরিচালনা ও তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ।
• মনোনয়নপত্র বাছাই এর স্থান নির্ধারন এবং প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারী সংস্থার প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রেরণ ।
• মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জামানতের চালান/ব্যাংক ড্রাফট সঠিক আছে কি না যাচাইকরণ। প্রার্থী ভোটার কি না? বয়স ২৫ বছর হয়েছে কি না? প্রস্তাবক ও সমর্থক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার কি না? প্রথম অংশে প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর আছে কি না? দ্বিতীয় অংশে প্রার্থীর ছবিসহ সকল তথ্য আছে কি না? প্রার্থীর স্বাক্ষর আছে কি না? তৃতীয় অংশে প্রার্থীর নাম ও ঠিকানা সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে কি না? প্রার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর ও ব্যাংকের নাম উল্লেখ করেছে কি না? প্রার্থীর দলীয়/স্বতন্ত্র উল্লেখ করেছে কি না? রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট দলের মনোনয়ন সংক্রান্ত পত্র দাখিল করেছে কি না? রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের দলীয় মনোনয়নটি সঠিক আছে কিনা যাচাই করা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এক শতাংশ সমর্থন সূচক তালিকা যাচাই সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ ও যাচাই করা। তৃতীয় অংশে প্রার্থীর স্বাক্ষর আছে কি না?
• নির্বাচনী আয়ের উৎস ও বায় সংক্রান্ত তথ্য ফরম (ফরম-৫) দাখিল করেছে কিনা এবং সেখানে। প্রার্থীর স্বাক্ষর আছে কি না? শিক্ষাগত যোগ্যতা, মামলা, সম্পদ ও দায় দেনা উল্লেখ সহ নির্ধারিত ফরমেটে প্রার্থী হলফনামা দাখিল করেছে কি না? হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য সঠিক আছে কি না? সম্পদ ও দায় দেনা উল্লেখ করেছেন কিনা? প্রার্থী ও হলফনামা সম্পাদনকারীর স্বাক্ষর আছে কি না? হলফনামায় উল্লিখিত সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করেছেন কি না? করদাতা হলে কর পরিষদের প্রত্যয়নপত্র। টিন নম্বর ও সম্পদ বিবরণী সংক্রান্ত ফরম দাখিল করেছেন কি না? প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা তাদের নাম যাচাই করতে হবে।
• মনোনয়নপত্র বৈধ/ বাতিলের আদেশ লিখিতভাবে প্রদান করা। কী কারণে বাতিল হলো তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। আরপিও ও এর কোন ধারার অথবা বিধিমালায় কোন বিধি প্রতিপালন না করার কারণে বাতিল হয়েছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাতিল আদেশ অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সরবরাহ ও প্রার্থীকে কোথায়, কিভাবে আপীল করার বিষয়ে প্রায়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা। বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় প্রতীক বরাদ্দের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখপূর্বক নোটিশ সকল প্রার্থীকে পড়ে জানানো এবং সরবরাহ করা।
• মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রত্যাহারপত্র দাখিল করতে হবে। প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে প্রত্যাহার করায় উৎসাহিত করা। আপিল কর্তৃপক্ষের আদেশ ও প্রত্যাহার পরবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ এবং কমিশনে প্রেরণ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ।রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য স্বতন্ত্র প্রতীক।
• স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষেত্রে একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একজন থাকলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন সংক্রান্ত (ফরম-) প্রকাশ ও কমিশনে প্রেরণ। আচরনবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ কার্যক্রম গ্রহণ। ভোটগ্রহণের দিন, তারিখ ও সময় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
• ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পত্র প্রেরণ। ছবিসহ ভোটার তালিকা যাচাই বাছাই করত কেন্দ্র ভিত্তিক বান্ডিল করা। ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও তালিকা তৈরি করা। কমিশন কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অবজারভেশন টিম, আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত সেল এবং মনিটরিং টিম গঠন ও মিটিং করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা ।
• দেশি/বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কার্ড প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান, পত্রজারি এবং পত্রপ্রাপ্তি নিশ্চতকরণ। ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী উপকরণ কমিশন থেকে গ্রহণ। ভোটগ্রহণের আগের দিন ও ভোটগ্রহণের দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পত্র প্রেরণ।
• ডাক বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম গঠনের জন্য পত্র প্রেরণ। কমিশন কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী প্রচার প্রচারণার শেষ সময় উল্লেখপূর্বক বিজ্ঞপ্তি জারি। নির্বাচনী মালামালসহ প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য যানবাহন সরবরাহের নিমিত্তে পরিবহনের অধিগ্রহণের ব্যবস্থাগ্রহণ। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রভিত্তিক নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বরসহ তালিকা প্রস্তুত।
• নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা (আইন শৃংখলাবাহিনী), নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়। ভোটগ্রহণের আগের দিন উপজেলা পরিষদ/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্র ভিত্তিক মালমাল বিতরণ। ভোটগ্রহণের আগের দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে মালামালসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পৌঁছেছে কিনা তা নিশ্চিত করে কমিশনকে প্রতিবেদন প্রেরণ।
• ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিনের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম স্থাপন এবং কর্মকর্তা ও কর্মকর্মচারীদের দায়িত্ব প্রদান। ভোটগ্রহণের দিন সকালে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে কিনা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক কিনা ইত্যাদি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সকাল আটটার মধ্যে কমিশনে প্রেরণ করতে হবে।
• ভোটগ্রহণ শুরুতে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসলে তা শোনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভোটগ্রহণ চলাকালীণ প্রতি ঘণ্টায় সব ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি জেনে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ও পরিবেশন কেন্দ্রে ফলাফল ও মালামাল সংগ্রহ। ফলাফল পরিবেশন ও মালামাল গ্রহণের সময় যেন সর্বত্র শৃংখলা বজায় থাকে তার পূর্ব প্রস্তুতিগ্রহণ। ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্রে সাংবাদিক ও প্রার্থীদের বসার সুব্যবস্থা করতে হবে। ফলাফল সংক্রান্ত বার্তা কমিশনে প্রেরণ করা।
• নির্বাচন পরবর্তী দিন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ফলাফল একীভূতকরণ এবং প্রার্থীদের সরবরাহ এবং গেজেটের জন্য কমিশনে প্রেরণ। ভোটগ্রহণ পরবর্তী দিনে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখা।