ঋণ ও নগদ টাকা বেড়েছে দীপু মনির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হলফনামা জমা দিয়েছেন নৌকার এই প্রার্থী। যেখানে তিনি ও তার স্বামীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব-তথ্য দিয়েছেন। তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে তার নগদ অর্থ বেড়েছে ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৮ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে তার নগদ অর্থ বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৭৪ গুণ। তবে, একই সময়ে তার ঋণও বেড়েছে। কমেছে জমাকৃত অর্থের পরিমাণও।
২০১৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য দীপু মনির কাছে নগদ অর্থ ছিল ১২ লাখ টাকা। আর ২০২৩ সালের হলমনামা বলছে, তার কাছে নগদ রয়েছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা। দীপু মনির মতো একই সময়ে তার স্বামীরও বেড়েছে নগদ টাকার পমিাণ। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার নগদ টাকা বেড়েছে আট লাখ দুই হাজার টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর জমা ছয় লাখ ৬০ হাজার ৭৬৮ টাকা। বন্ড ও শেয়ার বাজারে তার কোনো টাকা নেই। সঞ্চয়পত্র রয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৩৫৭ টাকা। জিপ জাতীয় গাড়ি রয়েছে একটি যার বাজার মূল্য ৬০ লাখ টাকা। স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রয়েছে তার বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা। আসবাবপত্র রয়েছে এক লাখ টাকার। আর ব্যাংক ও নগদ মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে চার হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার ও ২০০ পাউন্ড।
হলফনামার তথ্যমতে, কৃষি খাত এবং বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে মন্ত্রীর কোনো আয় নেই। এমনকি, তার কোনো ব্যবসাও নেই। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় তিন লাখ এক হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে তার আয় ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা (করমুক্ত ও করযুক্ত)। অন্যান্য খাত থেকে তার আয় ৯৮ লাখ ৬৭৪ হাজার টাকা। অন্যান্য খাতে রয়েছে ব্যাংক সুদ এবং ভাই ও স্বামীর থেকে প্রাপ্ত উপহার।
২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী দীপু মনির কৃষি জমি নেই। অকৃষি জমি রয়েছে ১০ কাঠা, যার বাজার মূল্য ৩৪ লাখ এক হাজার ৯৫৭ টাকা। অ্যাপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট রয়েছে তিনটি, যার বাজার মূল্য তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। তার ঋণ রয়েছে এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামাতেও দীপু মনির কৃষিখাত এবং বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ কোনো আয় ছিল না। ওই সময় ব্যবসা থেকেও তার কোনো আয় ছিল না। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ছিল ছয় হাজার ৯০২। সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে তার আয় ছিল ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪০০ টাকা (করযুক্ত ও করমুক্ত)। অন্যান্য খাত থেকে তার আয় ছিল পাঁচ লাখ টাকা। ওই সময় তার ঋণ ছিল পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৫ টাকা। তার ব্যাংকে জমা ছিল আট লাখ দুই হাজার ৮৮৫ টাকা।
২০২৩ সালে হলফনামায় শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর নগদ আছে এক কোটি ১০ লাখ দুই হাজার টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল তিন লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমাকৃত কোনো অর্থ নেই। বন্ড ও শেয়ার বাজারে আছে ৪৫ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ছয় লাখ ৯৩ হাজার ৭৭ টাকা। ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ ও ধাতব রয়েছে।
হলফনামায় স্বামীর আয়ের কোনো তথ্য দেননি শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি, জমি ও অন্যান্য সম্পদের ঘরগুলো ফাঁকা পাওয়া গেছে।