মানব ও অর্থপাচারে দণ্ডিত পাপুলের স্ত্রী সেলিনার মনোনয়ন আপিলেও খারিজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি সেলিনা ইসলাম। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে দণ্ডিত মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের স্ত্রী।
ঢাকায় আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে সেলিনার মনোনয়নপত্র নামমঞ্জুর করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে তৃতীয় দিনের মতো আপিল শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল শুনানিতে প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা রায় দিচ্ছেন।
এর আগে দুদকের মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে সেলিনা হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বাতিলের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন তিনি।
আজ সেলিনা ইসলামের আইনজীবী বলেন, হলফনামায় মামলার তথ্য লিখতে পারিনি। এখন সেটা নিয়ে এসেছি। শুনানিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে বলা হয়, তার মামলাটা দুদকের। উনি জামিনে আছেন। কিন্তু, এ তথ্য দেননি। তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশে আলোচিত মামলার আসামি। এরপর কমিশন মামলার অবস্থা জানতে চান। তখন সেলিনা ইসলামের আইনজীবী বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। এ কথা শুনে কমিশন সেলিনা ইসলামের আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেন।