মাদারীপুরের এক কেন্দ্রেই অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
মাদারীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষ এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে অন্তত ৫০টি হাত বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এক ভোটারসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণের দিন বেলা ১১টার দিকে ৯৫ নম্বর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে ৯৫ নম্বর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খানের অনুসারী এনামুল হাওলাদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান খানের অনুসারী আজাদ হাওলাদার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরেই উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হাত বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে একজন সাধারণ ভোটারসহ আহত হয় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন।
খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। আপাতত কোনো ঝামেলা নেই।’
ফের সংঘর্ষ এড়াতে এখানে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসপি মাসুদ আলম।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৮৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার আয়তনের সদর উপজেলায় মোট ভোটার তিন লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৬ হাজার জন। নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২১। আর পাঁচজন আছেন অন্যান্য ভোটার।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সদর উপজেলার ১১৭টি ভোটকেন্দ্রের সবকটিকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।