সুমন মাহমুদের তিনটি ছড়া
ট্রেন
ট্রেন ছুটে যাচ্ছে,
যেতে যেতে চারপাশে
কত কী দেখাচ্ছে!
দেখাচ্ছে দূরে চাষি
কাজ করে মাঠে
দেখাচ্ছে দূরে কেউ
ধীর পায়ে হাঁটে।
দেখাচ্ছে খোলা হাটে
লোকজন ঘুরছে,
দেখাচ্ছে এক মেয়ে
কলসিটা পুরছে।
হুট করে কোত্থেকে
বালকটা এসে,
ট্রেন দেখে আনন্দে
দিচ্ছে সে হেসে।
খুশি মন নিয়ে ট্রেন
সাঁই সাঁই ছুটছে,
আনন্দে তার ভেঁপু
বেজে বেজে উঠছে।
ইস্টিশনে গিয়ে
ট্রেন যেই থামছে
হুটোহুটি করে লোক
উঠছে ও নামছে।
সারা দিন ছুটতেই—
হয় ট্রেনটাকে,
রাত নেমে এলে সে
কোনখানে থাকে!
আড়ি
টাট্টুঘোড়া, লাটাই, ঘুড়ি
এবং কাঠের টিয়ে;
থাক পড়ে থাক খেলব না আর
পুতুল-পুতুল বিয়ে।
আর কোনোদিন ধরব নাকো
বায়না মেলায় যাবার
শুনব না তো কোনো কথা
মায়ের এবং বাবার।
আড়ি আড়ি ভীষণ আড়ি
আড়ি সবার সাথে,
থাকব একা একা আমি
মাখব না দুধভাতে।
খোকার ছবি
দুর্বাঘাসের
শিশির পালায়
পূর্বাকাশের
রোদের জ্বালায়।
রোদের আঁচে
মন হারিয়ে
ফিঙে নাচে
লেজ নাড়িয়ে
চড়ুইছানা
রোদটা পেয়ে
সুখের গানা
উঠল গেয়ে।
খোকন এমন
ছবি দেখে
অমনি খাতায়
ফেলল এঁকে।