আমেরিকার নাম আমেরিকা কেন?

Looks like you've blocked notifications!

আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। তিনি ছিলেন এক স্প্যানিশ নৌ-অভিযাত্রী। স্পেনের রানি তাঁকে ভারতের নৌপথ আবিষ্কারের জন্য নৌবহর আর অর্থকড়ি দিয়েছিলেন। সেই নৌবহর নিয়ে ভারতের নৌপথ আবিষ্কার করতে গিয়ে তিনি এক আস্ত অনাবিষ্কৃত মহাদেশেরই খোঁজ বের করেন।

তাহলে তো আমেরিকার নাম হতে পারত কলম্বাস নয়তো কলম্বিয়া, তাই নয় কি? তা কিন্তু হয়নি। কারণ, কলম্বাস যখন এই তল্লাট আবিষ্কার করে ফেললেন, তখনো তো তিনি জানেনই না যে তিনি আস্ত এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করে বসে আছেন! তিনি ভেবেছিলেন তিনি ভারতেই পৌঁছে গেছেন। আসলে তিনি গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। দুই আমেরিকার মাঝে ক্যারিবিয়ান সাগরে যেই দ্বীপদেশগুলো আছে। যেই দেশগুলো একসঙ্গে হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে ক্রিকেট খেলে।

পরে আমেরিকার নামকরণ করা হয় ইতালীয় অভিযাত্রী ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামে। আর এই নাম প্রথম ব্যবহার করেন জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়ান্ডসিম্যুলার। এই আমেরিগো ভেসপুচি আমেরিকায় পাড়ি জমানো দ্বিতীয় ইউরোপীয় অভিযাত্রী। তিনিই প্রথম বুঝতে পারেন, এটা ভারত তো নয়ই, বরং সম্পূর্ণ নতুন এক মহাদেশ। আর তাই তাঁর নামেই হয়ে গেল নতুন মহাদেশের নাম—আমেরিকা।

১৭৭৪ সালে আমেরিকা ব্রিটিশ রাজত্ব থেকে স্বাধীন হয়। সে সময় আমেরিকার যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়, তাতেই প্রথমবারের মতো দেশটির এখনকার নাম ব্যবহার করা হয়। আমেরিকার নাম দেওয়া হয় ‘দি ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা’। সংক্ষেপে ‘ইউনাইটেড স্টেটস’ বা ‘ইউএসএ’।

তবে কলম্বাসের নাম যে দেশটিতে একেবারেই ব্যবহার করা হয় না, তা কিন্তু নয়। আমেরিকার অনেক শহরের নামের শেষেই ‘ডিসি’ বলা হয়। যেমন- ওয়াশিংটন ডিসি। এই ডিসি মানে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া। এ ছাড়া কলম্বাসের নামে দক্ষিণ আমেরিকায় একটা আস্ত দেশও আছে- কলম্বিয়া।