একজন জনপ্রতিনিধির অবিরাম ছুটে চলার গল্প

Looks like you've blocked notifications!

রোগাক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসাসেবা নিতে চিকিৎসকের কাছে যাবেন, এটিই হচ্ছে প্রচলিত রীতি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এ ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে এই প্রচলিত নিয়মটি যেন কঠিনতর হয়ে উঠেছে। এমন সময় ‘চিকিৎসকের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে যাবেন চিকিৎসক’—এমন স্লোগান নিয়ে সেবামূলক কার্যক্রম চালু করেছেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বিরাজমান এ ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে তাঁর চিকিৎসা টিম ছুটে চলেছে রোগীদের কাছে। শেখ তন্ময়ও অবিরাম ছুটে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের দ্বারে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁরা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন রোগীদের। রোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসামগ্রী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারুণ্যের অহংকার শেখ সারহান নাসের তন্ময় ‘দিন বদলের’ আলোকমশাল নিয়ে সাধারণ জনগণের কাছে যান। তরুণ রাজনীতিক হিসেবে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তখনই। মানুষের মাঝেও তাঁকে নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা তৈরি হয়।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেখ তন্ময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আস্থার মর্যাদা দিতে নিরলস ভাবে কাজে নিয়োজিত হন।  তাঁকে ঘিরে যে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটা বুকে ধারণ করেই এগিয়ে চলেছেন এ তরুণ জনপ্রতিনিধি। সব সময় তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অবিরাম ছুটে যাচ্ছেন। সাধ্যমতো সহায়তা করে যাচ্ছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষকে।

অদৃশ্য শত্রু করোনার ভয়াল থাবায় থমকে গেছে বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। থেমে গেছে কর্মচাঞ্চল্য। এ অদৃশ্য শত্রুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোও। চিকিৎসা কার্যক্রমও ভেঙে পড়েছে উন্নত দেশের। অর্থনৈতিক ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে অনেক উন্নত দেশকেও। এমন সময় মানুষের দরজায় খাবার আর চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন জনবান্ধব এ তরুণ রাজনীতিক।

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও উন্নয়নশীল দেশ। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কল্যাণে দেশের অর্থনীতি অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে সরকার ও তার দল বা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন,তাঁদের মধ্যে অন্যতম শেখ তন্ময়।

করোনা মহামারির শুরু থেকেই তিনি জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার শুরুতে দেশের চিকিৎসাসেবা যখন ভেঙে পড়ার উপক্রম, ঠিক সে সময় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য হন্যে হয়ে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছিল, হাসপাতালগুলো যখন সেবার পরিধির সীমাবদ্ধতায় পৌঁছে গেছে, করোনা রোগীদের যখন সবাই ভয়ে অবহেলার চোখে দেখছিল, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার দুরাবস্থা দূর করতে ‘চিকিৎসকের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে যাবেন চিকিৎসক’—এই স্লোগান নিয়ে হাসপাতালকেন্দ্রিক চিকিৎসাসেবা চালু করেন। যার নাম দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা।

করোনাকালীন প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউ বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কঠিনভাবে হানা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদ আর বিশ্ব ঐহিত্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের জন্য খ্যাত খুলনা ও বাগেরহাটে। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবারের অবস্থা আরও ভয়াভহ। মৃত্যুশয্যায় অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছে শত-সহস্র মানুষ। মনে হচ্ছে যেন অমাবশ্যার গভীর অন্ধকার ভর করেছে খাজা খান জাহান আলীর ইতিহাসখ্যাত বাগেরহাটে। এমন সময়ে খুলনা বাগেরহাটের সাধারণ জনগণের দরজায় ছুটে চলেছেন তাদের প্রিয় নেতা শেখ তন্ময়। করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে ‘শেখ তন্ময় অক্সিজেন সেবা’। হটলাইনে কল করে ২৪ ঘণ্টা মিলছে এ সেবা।

খুলনার বাগেরহাটসহ সারা দেশে দিন দিন যখন বেড়ে চলেছে করোনা রোগীর মৃত্যর মিছিল, জনসাধারণের মাঝে যখন করোনার আতঙ্ক, সরকার তখন সারা দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে। এতে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ তন্ময়।

প্রতিদিই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ শেখ পরিবারের সন্তান তন্ময়ের ভালোবাসার ট্রাক ছুটছে বাগেরহাটের নয়টি উপজেলাতে। খাদ্যাভাবে মানুষের যেন কোনও কষ্ট না হয়, সে জন্য সর্বদা তৎপর রয়েছেন তিনি।

শেখ তন্ময় এ সেবা এখন শুধু তাঁর নির্বাচনি এলাকা বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনের জনগণের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, তাঁর এ সেবামূলক কার্যক্রম ছড়িয়ে দিয়েছেন মোড়লগঞ্জ-শরণখোলাসহ বাগেরহাটের নয়টি উপজেলাতেই। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি এই মহামারির মধ্যে জনবিচ্ছিন্ন, নিজ এলাকা সামাল দিতেই নতজানু, সেখানে শেখ তন্ময়ের উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী শেখ তন্ময়। এটাই শেখ পরিবারের পারিবারিক শিক্ষা।

করোনাকালীন এ কঠিন পরিস্থিতিতে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তাঁর সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাগেরহাট জেলা শাখা ও মোড়লগঞ্জ-শরণখোলাসহ প্রতিটি উপজেলা শাখা। শেখ তন্ময়ের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও নির্দেশনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুবিধা নিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে সরাসরি রোগীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তিনি। এমন একজন জনপ্রতিনিধি পেয়ে খুশি বাগেরহাটের সর্বস্তরের জনগণ।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ