বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলার যোগাযোগ কৌশল
করোনা মহামারি মোকাবিলায় গোটা পৃথিবীই এখন নাস্তানাবুদ। এই প্রতিকূলতা মোকাবিলার জন্য শিক্ষা-গবেষণার প্রায় সব শাখার সম্মিলিত প্রয়াস চলছে বিশ্বজুড়ে। জ্ঞানের অন্য সব শাখার মতো যোগাযোগের ভূমিকাও এখানে অনন্য। যোগাযোগীয় বিভিন্ন পদ্ধতি বা নীতি-কৌশলের পরিকল্পিত ও যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা এখানে জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার সামগ্রিক যোগাযোগীয় কার্যক্রম কেমন হতে পারে, তা এখানে একটি মডেল আকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের চরিত্রগত কারণে অন্যান্য সামাজিক বা যেকোনো ধরনের সংকটের চেয়ে এখানে যোগাযোগীয় নীতি-কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে, যে ধরনের যোগাযোগে মানুষকে মুখোমুখি (ফেস টু ফেস) অবস্থানে আসতে হয় এবং হাতে হাতে কোনো সামগ্রী (যেমন লিফলেট) আদান-প্রদান করতে হয়।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এ পর্যায়ে আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রসমূহকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা করতে পারি : ১. মানুষের আচরণগত পরিবর্তন ও ২. চিকিৎসা, খাদ্যসামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা।
মানুষের আচরণগত পরিবর্তন
মানুষের আচরণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগীয় হস্তক্ষেপ। করোনা মোকাবিলার জন্য কয়েকটি আচরণগত পরিবর্তনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। (যেমন একে অপরের থেকে অন্তত তিন ফুট বা দুই হাত শারীরিক দূরত্বে থাকা, কোনোভাবেই কারো সঙ্গে হাতে হাত না মেলানো ইত্যাদি।) দৃশ্যত সহজ মনে হলেও মানুষের জন্য যেকোনো আচরণ পরিবর্তন খুবই দুরুহ একটি বিষয়। দৃঢ় বিশ্বাস বা দীর্ঘদিনের অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করেই মানুষের আচরণ তৈরি হয়, যা একসময় তার অবচেতন কার্যকলাপের অংশেও পরিণত হয়ে যায়। মানুষ হঠাৎ এ আচরণ বদলাতে পারে না। এক্ষেত্রে আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগের কতগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথম ধাপে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান ও সচেতনতা তৈরি, দ্বিতীয় ধাপে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং সর্বশেষ ধাপে মানুষের আচরণের পরিবর্তন।
জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের আচরণ পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত মডেল রয়েছে। এর মধ্যে ‘এক্সটেন্ডেড প্যারালাল প্রসেস মডেল’ প্রয়োগ করে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। এই মডেলে মূলত দুটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যথা : ১. প্রত্যেকে নিজের বর্তমান আচরণের পরিণতিকে নিজের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে ভাবতে শুরু করবে। ২. একইসঙ্গে এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নিজেকে সক্ষম মনে করবে এবং বিশ্বাস করবে যে নতুন আচরণটি তাদের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর হবে।
আচরণ পরিবর্তনের ধাপসমূহ :
প্রথম ধাপ : জ্ঞান প্রদান ও সচেতনতা সৃষ্টি
নতুন আচরণে মানুষকে অভ্যস্ত করার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন তাদেরকে পর্যাপ্ত তথ্য বা জ্ঞান সরবরাহ করা, যাতে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। এ পর্যায়ে আমরা যেসব চ্যানেল বা অ্যাপ্রোচ ব্যবহার করতে পারি : (১) টেলিভিশনে ব্যাখ্যামূলক, পিকটোরিয়াল ও ডেমোনেস্ট্রেটিভ (প্রমাণভিত্তিক) প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকদের পরামর্শ সম্প্রচার, (২) ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে গুণগত এবং বিশ্বাসযোগ্য আধেয় (কনটেন্ট) প্রচার, (৩) মাইকের মাধ্যমে পূর্ব ধারণকৃত সচেতনতামূলক বার্তা বা গানের অডিও প্রচার, (৪) মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার এবং (৫) পৌরসভা বা ইউনিয়নের ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রচার। এ ছাড়া ইলেক্ট্রনিক ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্লোগান বা ‘পার্সুয়েসিভ ম্যাসেজ’ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। (যেমন : ‘আমরা আসছি আপনার বাড়িতে, ঘরে থাকলে দেখা হবে না, বাইরে থাকলে দেখা হতেও পারে’-নভেল করোনা) তবে সামগ্রিকভাবে মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্রোচ অর্থাৎ সব ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া বর্তমানে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত করোনাভাইরাসের কমিউনিটি বিস্তারের দিকে। এ ক্ষেত্রে গ্রামীণ পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মসজিদের ইমামরাই সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাদের সামাজিক পরিচিতি, প্রভাব বা বিশ্বাস মানুষকে নতুন আচরণ প্রতিপালনে বেশি উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এ লক্ষ্যে তাদের করোনাভাইরাসের বিস্তার পদ্ধতি, সম্ভাব্য ক্ষতি বা এর থেকে মুক্ত থাকতে করণীয় এমন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে ভাবা যেতে পারে, যা বাস্তব পরিবেশে খুবই কার্যকর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে কর্মশালা পরিচালনা বা ক্ষেত্রবিশেষে উপজেলার কোনো একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরিচালনায় মুখোমুখি (যথেষ্ট নিরাপত্তা মেনে চলে) কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।
এই ধাপে মূলত মানুষকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে নতুন আচরণসমূহ গ্রহণ করলে তারা কীভাবে উপকৃত হবে এবং পুরোনো আচরণটি যদি অব্যাহত রাখে তবে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এই আচরণগুলো কীভাবে পালন করবে তা জানানোও গুরুত্বপূর্ণ। (যেমন বতৃমান পরিস্থিতিতে বাজার থেকে শাক-সবজি এনে কীভাবে ধৌত করতে হবে)
দ্বিতীয় ধাপ : দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন
যোগাযোগের গবেষণায় দেখা গেছে যেকোনো বিষয়ে মানুষের কেবল জ্ঞান অর্জিত হলেই সে নতুন আচরণ গ্রহণ করে না। বরং এক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একটি বড় বিষয়। আর এই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের পরিবার, পূর্ব ধারণা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য মূলত মুখোমুখি যোগাযোগ সবচেয়ে কার্যকর। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেহেতু মুখোমুখি যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এই অ্যাপ্রোচ থেকে আমাদের যতটা সম্ভব সরে আসার চেষ্টা করতে হবে। প্রথম ধাপে জ্ঞান ও সচেতনতা তৈরির জন্য যেসব চ্যানেল বা অ্যাপ্রোচের কথা বলা হয়েছে, তা বারবার ব্যবহার করতে হবে। যোগাযোগীয় ধারণা অনুযায়ী যখন একটি বিষয় বারবার প্রচার করা হয় বা বলা হয়, তখন মানুষ ওই বিষয়কে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয় বা মনোযোগী হয়। (যেমন টেলিভিশনে একই বিজ্ঞাপন বারবার দেখানো)।
এ ছাড়া আমরা কগনেটিভ স্যোশাল লার্নিং তত্ত্বের সহযোগিতা নিতে পারি। এ তত্ত্ব অনুযায়ী সমাজের বড় বা বিখ্যাত মানুষদের আচরণ অন্যরা অনুসরণ করে থাকেন। তাই আমাদের দেশের বিখ্যাত বা জনপ্রিয় মানুষদের মাধ্যমেও আমরা সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর দিকসমূহ বোঝানোর চেষ্টা করতে পারি। এ ছাড়া এই তত্ত্ব অনুযায়ী ‘প্রোমোট দ্যা রিওয়ার্ড অ্যান্ড বেনিফিটস’-এর দিকেও আমরা দৃষ্টি দিতে পারি। অর্থাৎ নতুন আচরণ গ্রহণ করে যারা ইতিমধ্যে বিরূপ পরিস্থিতিতেও করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছেন, তাদের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারি।
সর্বশেষ ধাপ : নতুন আচরণ গ্রহণ বা চর্চা
যথাযথভাবে প্রথম দুটি ধাপ অতিক্রম করার পরেই মানুষ নতুন আচরণ প্রতিপালন করে থাকে। অর্থাৎ এ পর্যায়ে তারা পূর্ববর্তী ক্ষতিকর আচরণ থেকে সরে এসে নতুন আচরণকে গ্রহণ করে এবং ক্রমাগতভাবে তা চর্চা করতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নতুন আচরণ গ্রহণ করার পরে সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবে না এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে বসেই নামাজ আদায় করবে।
তবে এভারেট এম রজার্সের ‘ডিফিউশন অব ইনোভেশন’ ধারণা অনুযায়ী সমাজে সব ইনোভেশন গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘ল্যাগার্ড’ বা ‘পিছিয়ে পড়া’ একটি দল থাকে, যারা কোনো নতুন ধারণা বা আচরণকে কখনোই গ্রহণ করতে চায় না। সে বিবেচনায় এখানেও একটি দল থাকতে পারে, যারা নতুন আচরণ প্রতিপালন করতে আগ্রহী থাকবে না। তবে অন্যান্য সংকটে তারা কেবল নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও করোনা পরিস্থিতিতে তারা অন্যদের জন্যও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তাই তাদের নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ‘কালেক্টিভ ডিসিশন’ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে পারি অর্থাৎ কমিউনিটির মানুষের মধ্যে এমন মানসিকতা তৈরি করতে হবে যে তারা সমষ্টিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দেশিত আচরণগুলো সবাই মেনে চলবে। তবে এই অ্যাপ্রোচেও ‘ল্যাগার্ড’দের বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়া গেলে ‘অথরিটি ডিসিশন’ প্রতিপালনের দিকে মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।
চিকিৎসাব্যবস্থা, খাদ্যসামগ্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা
নিকট অতীতে বাংলাদেশ দেশব্যাপী এত বড় জরুরি ব্যবস্থাপনার সম্মুখীন হয়নি। তাই আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাসমূহ ও সিভিল সোসাইটির বিভিন্ন উদ্যোগকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার চেষ্টা করা যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব সংস্থা ইতোমধ্যে মানবিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা রয়েছে। একইসঙ্গে আমাদের জন্য আরেকটি শক্তির জায়গা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা। কেবল রিসোর্সের যথাযথ প্রবাহ নয়, ক্যাম্পভিত্তিক ও কার্যক্রমের সেক্টরভিত্তিক সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশ এত বড় মানবিক সংকটকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। তাই বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মডেল অনুসরণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
সামগ্রিক কার্যক্রমে যারা অংশীদার থাকবে, তাদের নিয়ে স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং করা যেতে পারে। এই ম্যাপিংকে অ্যাপস আকারেও প্রস্তুত করার বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। আমাদের বর্তমানে আইসিটি সেক্টরে যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে খুবই দ্রুততার সঙ্গে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব।
এ ছাড়া খাদ্রসামগ্রী বা ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে সবাই ভিড় না জমিয়ে নির্দিষ্ট কোনো খোলামাঠে তা বিতরণ করা যেতে পারে বা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে (নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে) তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।
সামগ্রিক আলোচনা
এ ছাড়া সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রয়োজন বিভিন্ন সেক্টর অনুযায়ী কিছু ‘র্যা পিড অ্যাসেসমেন্ট’ সম্পন্ন করা। যার ওপর ভিত্তি করে বর্তমান জরুরি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই দায়িত্ব পালন করতে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্তমানে আলাদা একটি করোনা মনিটরিং সেল করা যেতে পারে, যারা দেশের সামগ্রিক কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবেন। এ ছাড়া এমন মহামারি মুহূর্তে সবর্দাই বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এই গুজব নিরসনের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমসমূহ বর্তমান সময়ের মতো সচেতন থাকলে তা সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো সব জেলা ও উপজেলায় হটলাইন চালু ও তা প্রচার করা যেতে পারে। দেশে সামগ্রিকভাবে যারা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে, তাদের নাম উল্লেখ না করে গ্রাম বা পাড়ার উল্লেখ করে একটি অ্যাপস বানানোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে করোনা মোকাবিলার সামগ্রিক কার্যক্রমের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবে, তাদের নিজেদেরও যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সবমিলিয়ে বলা যায়, সুষ্ঠু সমন্বয় ও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হলে আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মতো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও অনেক সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হব।
লেখক : ড. শেখ আবদুস সালাম, অধ্যাপক, গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য যোগাযোগবিদ মো. রুমান শিকদার, শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়