২০১৬

যে বরেণ্য ব্যক্তিদের আমরা হারিয়েছি

Looks like you've blocked notifications!

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বিদায় নিচ্ছে ২০১৬ সাল। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এমন অনেকে চলে গেলেন, যাঁদের জন্য অনেক দিন মন খারাপ থাকবে অসংখ্য মানুষের, যাঁদের অবদান রয়ে যাবে চিরকাল।

এই স্মরণের তালিকায় আমরা দেশ ছাড়িয়ে যুক্ত করেছি আরো দুজনের নাম। একজন সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ। একাত্তরে ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যার কথা বহির্বিশ্বে প্রথম প্রচার করেছিলেন পুলিৎজার বিজয়ী নিউইয়র্ক টাইমসের এই সাংবাদিক। আরেকজন মহাশ্বেতা দেবী। প্রখ্যাত এই সাহিত্যিকের নাড়িপোঁতা ঢাকাতেই।

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককেও আমরা হারিয়েছি এ বছর। ৮০ বছর বয়সে ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ভক্ত ও অনুরাগী পাঠকদের ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে যান।

নূরজাহান বেগম। বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত এবং সাহিত্যিক। ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিনের কন্যা। ভারত উপমহাদেশের প্রথম নারী সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বেগম’ পত্রিকার এই সম্পাদক অন্য ভুবনে পাড়ি জমান ২৩ মে।

কবি শহীদ কাদরী চলে গেলেন ২৮ আগস্ট। নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ তিনি।

হে কলম, উদ্ধত হয়ো, নত হও, নত হতে শেখো—এম পঙ্ক্তি যিনি রচনা করেছিলেন, সেই কবি রফিক আজাদ মারা যান ১২ মার্চ।

ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে ওঠেননি পারভীন সুলতানা দিতি। ২০ মার্চ না-ফেরার দেশে চলে যান এই অভিনেত্রী।

দোতরার সঙ্গে সুর মিশে গিয়েছিল তাঁর, তিনি রব ফকির। তিনি ২০১৬ সালে পৃথিবী ছাড়েন, ৭ আগস্ট।

৮৮ বছর বয়সে বিদায় নেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অজয় রায়। তাঁর প্রস্থানের তারিখ ১৭ অক্টোবর।

মাইজভাণ্ডারী গানের কিংবদন্তি আবদুল গফুর হালী মারা যান ২১ ডিসেম্বর।

এ ছাড়া আমরা  যাঁদের হারিয়েছি, দেওয়া হলো তাঁদের চলে যাওয়ার তারিখ :

৪ জানুয়ারি : অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব হোসেন

২২ জানুয়ারি : সুরকার খোন্দকার নুরুল আলম

২৪ জানুয়ারি : সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ

২৮ জানুয়ারি : চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ এইচ সাইদুর রহমান

১৩ ফেব্রুয়ারি : রবীন ঘোষ

১৩ ফেব্রুয়ারি : কবি কায়সুল হক

১৫ ফেব্রুয়ারি : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম

২৪ ফেব্রুয়ারি : প্রত্নতাত্ত্বিক আবুল মোহাম্মদ যাকারিয়া

০৭ মার্চ : চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠু

৪ এপ্রিল : চলচ্চিত্রকার শহীদুল ইসলাম খোকন

১৯ এপ্রিল : ভাষাবিজ্ঞানী ড. আফিয়া দিল

২৫ এপ্রিল : চাকমা রাজমাতা আরতি রায়

১১ মে : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন

১৬ মে : সাংবাদিক সাদেক খান

২৪ মে : বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম

১ জুন : সাংবাদিক ফাহিম মুনায়েম

১৩ জুন : শিক্ষাবিদ মনিরুজ্জামান মিঞা

২০ জুন : সাংবাদিক সন্তোষ মণ্ডল

২৩ জুন : সাবেক সচিব, ক্রীড়ালেখক রণজিৎ বিশ্বাস

৯ জুলাই : সিডনি শনবার্গ

২০ জুলাই : মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী শিরিন বানু মিতিল

২৩ জুলাই : শাবিপ্রবি উপাচার্য ছদরুদ্দিন আহমদ

২৮ জুলাই : মহাশ্বেতা দেবী

২ আগস্ট : গণিতবিদ আ ফ ম খোদদাদ খান

২২ আগস্ট : অভিনেতা ফরিদ আলী

২৭ সেপ্টেম্বর : রাজনীতিবিদ হান্নান শাহ

২ অক্টোবর : রূপসজ্জাশিল্পী মোহাম্মদ ফারুক

৫ নভেম্বর : জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান

৬ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল

৮ ডিসেম্বর : ফুটবলার খোন্দকার মোহাম্মদ নূরন্নবী