জঙ্গিবাদ

ইসলামিক স্টেট শেষ হওয়ার পথে, তারপর?

Looks like you've blocked notifications!

এন্টিনে লাভসিয়ের নামের একজন ফরাসি বৈজ্ঞানিক ১৭৮৫ সালে বলেছিলেন ‘পদার্থকে কখনো ধ্বংস করা যায় না।’ বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ কিংবা সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রেও পদার্থ বিজ্ঞানের এই ধারণাটি প্রচলিত হয়ে গেছে। সন্ত্রাসীদের প্রবণতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ শেষ হয়ে গেলেও আর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তার স্থান দখল করে নেয়। আর সেজন্যই সর্বশেষ সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস নির্মূলের পর তাদের স্থান কে দখল করতে যাচ্ছে,  কিংবা  আদতে তাদের সমূলে নির্মূল করা যাবে কি না অথবা আইএস নির্মূল হয়ে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা গোটা দুনিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শেষ হয়ে যাবে কি না , সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে এসেছে। বিশেযজ্ঞরা আইএস নির্মূলের পর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থাকবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি ‘না’ বলে দিয়েছেন। তা হলে কী অপেক্ষা করছে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য?

সমসাময়িক দুনিয়াতে বিশেজ্ঞরা সর্বমোট ১৫টি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের কথা বলেছেন। একটু পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে একটি শেষ না হতেই আরেকটি জন্ম হয়েছে, কিংবা অনেকটা চেইন রিঅ্যাকশনের মতো অন্যান্য সন্ত্রাসী দলের জন্ম হয়েছে। এই শীর্ষ ১৫টি সন্ত্রাসী গ্রুপ হলো (১) আইএস, (২) আল-কায়েদা, (৩) তালিবান, (৪) বোকো হারাম (আইএসের অনুগত) ,  (৫) লস্কর ই-তৈয়াবা ,  (৬) তেহরিক ই-তালিবান,  (৭) হেজবুল্লাহ,  (৮) আল-শাবাব,  (৯) হামাস,  (১০) এফএআরসি (কলোম্বিয়া), (১১) পি কে কে, (১২) আল-নুসরাত ফ্রন্ট (আল-কায়েদা অনুগত),  (১৩) নক্সাল পন্থী (ভারত),  (১৪) আইআরএ এবং (১৫) এলআরএ  (দক্ষিণ সুদান)।

এত সব সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বর্তমানে আইএস এক নম্বর স্থান দখল করে আছে। আমরা দেখেছি এসক সন্ত্রাসী গ্রুপের উত্থানের পেছনে কোনো না কোনো শক্তি কাজ করেছে। আল-কায়েদা বা তালিবানদের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্র যেমন সহায়তা করেছে, তেমনি আইএসের উত্থানের পিছনেও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক প্রভাবশালী দেশ রয়েছে। তারাই এদের সৃষ্টি করেছে, আবার তারাই কোয়ালিশন ফোর্স বানিয়ে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করছে।

ইতিমধ্যে ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার আর-রাকা শহরে আইএস অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ইরাকের মসুল শহরের অভ্যন্তরে আল নূরী নামে একটি বিখ্যাত মসজিদ রয়েছে। সেলজুগ সাম্রাজ্যের সম্রাট নূর-উদ্দিন ১১৭৩ সালে এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৪ সালে এ মসজিদের পাদদেশে দাঁড়িয়েই আইএস নেতা আবু-বকর আলবাগদাদি আইএসের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অথচ গত ২১ জুন ২০১৭ তারিখে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে আইএস জঙ্গিরা ঐতিহাসিক এই আল-নূরী মসজিদটি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়।

বর্তমানে ইরাকি সৈন্যরা আল-নূরী মসজিদের অতি নিকটে পৌঁছে গিয়েছে। আল-বাগদাদিকেও মসুলে আর দেখা যাচ্ছে না। এখন শুধু বাকি আছে আইএসের রাজধানী খ্যাত সিরিয়ার আর-রাকা শহর। তাও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোয়ালিশন বাহিনীর দখলে আসবে বলে আশা করা যায়। এখন পর্যন্ত আইএস তাদের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা হারিয়ে ফেলেছে। এমন একটি সময়ে সবার মুখে মুখে একটি কথা, ‘কি হবে আইএসের পতনের পর ?’

প্রথমেই ধাক্কা লেগেছে আইএসের আয়ে। আইএস ইরাক ও সিরিয়ার তাদের দখলকৃত এলাকায় একটি রাষ্ট্রের মতো তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছিল এবং কর আদায়, তেল বিক্রি, সুদ, জরিমানা কিংবা ডাকাতি করে টাকা আয় করত। এখন তাঁদের আয় ২০১৪ সালে যেখানে ছিল ১.৯ বিলিয়ন ডলার, তা ২০১৬ তে নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার।

আদর্শগতভাবেও তারা পরাজিত হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়াতে তাদের ভূমি বেদখল হওয়াতে তথাকথিত ইসলামিক খেলাফত আজ হুমকির মুখে। আদতে মুসলিম বিশ্ব এই তথাকথিত খেলাফতকে অগ্রাহ্য করেছে। কিন্তু একটি বিষয় কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করা যাবে না, তা হলো ইসলামিক খেলাফতের এ আন্দলনকে একেবারে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে সিরিয়ায় শিয়া ও সুন্নি দুটি বিবদমান গ্রুপ কাজ করছে। একটি বাসার-আল-আসাদকে সমর্থন করছে, অন্যটিকে সমর্থন করছে খোদ সৌদি আরব, তুরস্ক, জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্র। এসব অঞ্চলে সুন্নি আইএস না থাকলেও শিয়া-সুন্নি যুদ্ধ কখনো বন্ধ হবে না। ফলে আইএস শেষ হলেও আমরা তার পরিবর্তিত রূপ এতদঞ্চলে দেখতে পাব। এটাই অদৃষ্টের পরিহাস।

খোদ ইরাকেই আছে শিয়া-সুন্নির দ্বন্দ্ব। এই সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব সরকারের সব ক্ষেত্রে বিবদমান। ফলে আইএস যেকোনো সময় এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, এটাই অবশ্যম্ভাবী।

২০০৩ সালে সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস বলেছিলেন, ইরাক যুদ্ধের শেষ কী হবে এটাই বড় কথা। আজ ১৪ বছর পর সবার মনে একই প্রশ্ন অনুকম্পিত হচ্ছে ‘এখন কী হবে’। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকি সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তাজনিত মতানৈক্যের কারণে মার্কিন সেনা ইরাক থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ওবামা সরকারই ইরাকি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য তিন হাজার ১০০ সৈন্য ইরাকে মোতায়েন করেছিলেন। ফলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আইএস পরাজিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা সহসাই ইরাক ছাড়ছে না।

একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী অথবা মনিটরিং ফোর্স ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলে মোতায়েন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুত হচ্ছে। আর এই শান্তিরক্ষী বাহিনী থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ।

২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ইরাক ছেড়ে যাওয়ার ফলে এতদঞ্চলে একটি ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে এই অঞ্চলে সংগত কারণেই ইরান একটি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। শিয়া মতাদর্শের এ বাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুন্নিরা জোটবদ্ধ হতে শুরু করে। অনেকে মনে করে এর ফলেই সুন্নি মতাবলম্বী আইএসের উত্থান হয়েছে। সুতরাং সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা এ অঞ্চল ত্যাগ করবে না।

মার্কিন সৈন্যরা এই অঞ্চল ছেড়ে দিলেই কুর্দিবাহিনী তাদের স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে, আর সুন্নিরা অন্য আর একটি জিহাদি গ্রুপ সৃষ্টি করে শিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। এ যেন নতুন বোতলে পুরাতন সুরা। তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক ও ইরান সংবলিত এতদঞ্চলে কয়েকটি বিবদমান দল সক্রিয় আছে। এগুলো হলো, পি কে কে গ্যারিলা, যা তুরস্ক থেকে স্বাধীনতা চায়, তারাও স্বাধীন রাষ্ট্র চায়, সিরিয়ার বাসার-আল-আসাদের শিয়া সমর্থনপুষ্ট বাহিনী বনাম সুন্নি বাহিনী, ইরাকের অভ্যন্তরে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব ইত্যাদি অনেক বিবদমান দল। আইএসের বিরুদ্ধে এক হয়ে যুদ্ধ করলেও এই যুদ্ধের পর তারা আবার পুরোনো দ্বন্দ্ব নতুন করে শুরু করবে।

উক্ত সময়ের ভিতরে আইএস একটি আন্তর্জাতিক জিহাদি মুভম্যান্টে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৫০ দেশে আইএসের সমর্থক সংগঠন রয়েছে। ২০১৭ পর্যন্ত আইএস তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ২৯টি দেশে ১৪৩ টি আক্রমণ রচনা করে, আর এতে দৃই হাজার ৪৩ জন মৃত্যুবরণ করে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে আইএস কি একেবারে নির্মূল করা যাবে? উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ফিলিপাইনের আবু সায়াফ, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল-শাবাব ইত্যাদি আইএসের অন্যতম সহযোগী সংগঠনের কথা। আইএস বর্তমানে লিবিয়া, সিনাই, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এমন কি খোদ আমেরিকাতেও তাদের সহযোগী সংগঠন সৃষ্টি করেছে।

আইএসের প্রোপাগাণ্ডা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা সহজেই বিভিন্ন দেশের নিরীহ লোকদের বিশেষ করে উঠতি বয়সের তরুণদের তাদের দলে ভিড়াতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মিডিয়াও অনেক শক্ত। আইএস নির্মূল হলেও এসব কর্মকাণ্ড সহসাই বন্ধ হওয়ার নয়।

আইএসের আপাত পতন সংগঠনের ওপর কিছু প্রভাব ফেলতে পারে। সেগুলো হলো (১) সন্ত্রাসী আক্রমণ কমে যাওয়া, (২) তাদের ওপর সহযোগী সংগঠনগুলো আস্থার অভাব, কিংবা জিহাদিদের দলে ভিড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ কিংবা মন্থর হয়ে যাওয়া। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব কখনো একেবারে নির্মূল করা যাবে না। বর্তমানে আইএসের সংঘবদ্ধ তৎপরতায় কিছুটা ভাটা পড়লেও এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক কিংবা সৌদি আরবে বিক্ষিপ্ত হামলা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি পুরো দুনিয়াতে আইএস তাদের আক্রমণ তীব্র করতে পারে। অনেকের মতে আইএসের  আপাত পতনে তাদের প্রথম অধ্যায় শেষ হলেও, দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হবে ।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে টালমাটাল অবস্থা বিরাজমান। সৌদি-ইয়েমেন দ্বন্দ্ব, সৌদি-কাতার দ্বন্দ্ব, সৌদি-ইরান দ্বন্দ্ব, শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব, কুর্দি-তুরস্ক দ্বন্দ্ব ইত্যাদি উদ্বেগজনক অবস্থার মাঝে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ন্যাটোর অংশগ্রহণে এক উত্তাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মুসলিম উম্মাহ আজ একটি অস্তিত্বের সংকটে অবস্থান করছে। এমন একটি তরল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার মাঝে আইএসের মতো অন্য আরেকটি সংগঠনের জন্ম অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সিরিয়া ও ইরাকের দুর্বল সরকারের সুযোগ নিয়ে আইএস এ দুটি দেশে বিশাল একটি এলাকা দখলে  নিয়েছিল। তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর দুটি হলো ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার আর-রাকা। সিরিয়ার আর-রাকা শহরটি হলো আইএসের স্বঘোষিত রাজধানী। গত ২৮ জুন ২০১৭-এর মধ্যে ইরাকি সৈন্যরা মসুল দখল  করে নেয়। বর্তমানে ইরাকের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত কিছু নন-স্ট্র্যাটেজিক এলাকা আইএসের দখলে আছে। ওই দিকে সিরিয়াতে তিনটি অক্ষে বর্তমানে যুদ্ধ চলছে। সিরিয়ার সরকারি সৈন্যরা রাশিয়ার বিমান বাহিনী দ্বারা সমর্থন লাভ করে পালমিরা, আলেপ্পো ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করেছে। অন্যদিকে কুর্দি যোদ্ধারা সিরিয়ার উত্তরাংশে জারাব্লুসের কিছু অংশ দখল করে উত্তর দিকে আইএসের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। তুর্কি বাহিনীও উত্তর দিক থেকে আক্রমণ রচনা করে জারাব্লুস দখল করে নিয়েছে। অদ্যবধি আর-রাকা দখল নিয়ে যুদ্ধ চলছে। ১৩ জুলাই, ২০১৭ তারিখের খবর অনুযায়ী সিরিয়া ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএফ আল-রাকার পুরাতন শহরের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করে নিয়েছে । আর-রাকা দখলের এই অপারেশনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেট ব্যাটল’।

ইরাকে মসুল আর সিরিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পর এই মুহূর্তে এই যুদ্ধের সেন্টার অব গ্রেভিটি হলো আর-রাকা শহর। এই শহর দখলের জন্য তিনটি অক্ষে তিন বাহিনী যথা এসডিএফ, তুর্কি বাহিনী ও কুর্দিবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। হতে পারে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আর-রাকা আইএস দখল মুক্ত হবে ।

আইএসের জন্য যে দুটি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা হলো ইরাক ও সিরিয়া। এ দুটি দেশ প্রায় ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে । সুতরাং এই যুদ্ধ জয়ের আনন্দ তাদের মাঝে খুব বেশি স্থায়ী হবে না বলে মনে হয়। কেননা যুদ্ধের পর অন্যান্য সমস্যার মাঝে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা, বর্তমানে এআইবিএ, সিলেটে চাকরিরত।