যুদ্ধাপরাধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সাকা চৌধুরীর রায় ও ফিরে দেখা
১
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেসব প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে, সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী তাঁদের অন্যতম। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বাকপটু এই রাজনীতিক বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঘোষিত ১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখের রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়েরকৃত আপিলের রায় ঘোষিত হলো আজ। এ রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০০৯ সালে গঠন করে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’। ওই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়ে এযাবৎ যে কয়জন অভিযুক্ত মানবতাবিরোধী দণ্ডিত হয়েছেন, তাঁর ভেতর সাকা চৌধুরীর রায় বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত। আজকের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ছয়বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের একটি পরিণতি পরিলক্ষিত হতে পারে, তা সে হোক ফাঁসির রায় বহালের মাধ্যমে।
প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও একসময়ের দুর্দান্ত প্রতাপশালী রাজনীতিক সাকা চৌধুরী ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা কখনই স্বীকার করেননি। এমনকি সাকা চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নিয়ম অনুসারে দোষী, না নির্দোষ—বিচারকের এ প্রশ্নের জবাবও দেননি। বিতর্কিত মন্তব্য, বক্তব্য ও আচরণের কারণে তিনি দেশব্যাপী পরিচিত। তাঁর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান মুসলিম লীগের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। ফজলুল কাদের চৌধুরী দালাল আইনে কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাবার রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সাকা চৌধুরীও রাজনীতি শুরু করেন মুসলিম লীগের মাধ্যমে। সাকা চৌধুরী ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে মুসলিম লীগ থেকেই প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর সামরিক শাসক এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ’৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে নিজেই দল গঠন করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ’৯৬ সালে যোগ দেন বিএনপিতে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পার্লামেন্টে ও পার্লামেন্টের বাইরে তাঁর খ্যাতি ছিল তির্যক মন্তব্যের কারণে। ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ করে, ‘আমাকে আইন শেখাতে আসবেন না’ বলে চমক দেখান সাকা চৌধুরী। তা ছাড়া জবানবন্দি শেষে প্রসিকিউটর জেরায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে যখন জানতে চান, তিনি এতদিন যা বলেছেন তা জেনেবুঝে বলেছেন কি না? জবাবে সাকা চৌধুরী বলেন, ‘আই অ্যাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অব বাংলাদেশ। যখন যা বলি জেনে-বুঝে এবং অর্থপূর্ণতাসহ বলি।’
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১ অক্টোবর ২০১৩ সালে রায় ঘোষণা করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়, যার ভেতর চারটি অভিযোগের বিপরীতে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে সাকা চৌধুরী ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন। উল্লেখ্য, তাঁকে একই সালের জুন মাসের একটি গাড়ি ভাংচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। চার্জ গঠনের পর ২৮ জুলাই ২০১২ তারিখ রাষ্ট্রপক্ষের এবং ৩১ জুলাই সাকা চৌধুরীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৪ আগস্ট ২০১২ সালে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি CAV (Curia Advisari vult) রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। সাকা চৌধুরীর পক্ষে প্রথমে এক হাজার ১৫৩ জন সাফাই সাক্ষীর নাম দেওয়া হলেও পরবর্তীকালে ট্রাইব্যুনাল পাঁচজনের অনুমতি দেন। সাকা চৌধুরীর রায় নিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তাপ ছড়ায় রায়ের কপি ফাঁস নিয়ে। ট্রাইব্যুনালের একজন স্টাফের সহায়তায় রায়ের কপি বাইরে যাওয়ার বিষয়েও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক ও আলোচনা চলে। ট্রাইব্যুনালের দুজন স্টাফের সঙ্গে সঙ্গে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফকরুল ইসলাম চৌধুরীও আটক হন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজ অবধি যুদ্ধপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলশামসের বিচার, তাদের পুনর্বাসন, পুনরুত্থান, রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব লাভের বিষয়সহ এ-সংক্রান্ত নানা বিষয় বিভিন্ন পক্ষে রাজনৈতিক ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামে রাজনৈতিক দলটি সর্বাপেক্ষা মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন ও এর বিচার প্রক্রিয়া শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ওই দলের সবচেয়ে বেশি নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে এবং এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিচার সমাপ্ত হয়েছে এবং দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল হলেও দল হিসেবে তাদের এখনো নিষিদ্ধ করা হয় নাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধের বিষয়ে কিছুটা পাশ কাটানোর নীতি অবলম্বন করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ ও এর কার্যক্রমের উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক জোট ও একাত্মতা সরকারি মহলকে বিএনপির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদদাতা সংগঠন হিসেবে দেখানোর পথ সুগম করেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বেশ কিছু বর্তমান ও সাবেক নেতা এরই মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাকা চৌধুরী তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
২
স্বাধীনতার পরপর যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছায় ১৯৭২ সালে International Crimes Tribunal Act সংসদে পাস হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ওই আইনে বিচারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এই বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে সরব থাকলেও মূলত ১৯৯১ সালে অধ্যাপক গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হলে এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পেলে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে নতুন করে জনমত গঠন শুরু হয়। ১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি প্রতীকী ‘গণআদালত’ বসিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতাকে অভিযুক্ত করে প্রতীকী শাস্তি প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে জাহানারা ইমামসহ অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার পরিক্রমায় এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সংকল্প ব্যক্ত করে এবং নতুন প্রজন্মের ভোটারদের সর্বাত্মক সমর্থন লাভ করে। এর ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকেই সরকারের প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু ও সম্পন্নের দাবি উঠতে থাকে। ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব আনেন এবং জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি রেজুলেশন পাস হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ১৯৭৩ সনের আইনকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের সহায়তা ও সমর্থন পায়। জাতিসংঘও সীমিত পরিমণ্ডলে বিচার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেয়। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন তিনটি রেজলুশন পাস করে এবং বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার তাগিদ দেয়।
তথাপি, এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বিচারের প্রক্রিয়া এবং তার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তার মধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিচারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে ক্রমাগত তাদের উদ্বেগের কথা জানাতে থাকে। বিচার চলাকালে দি ইকোনমিস্ট বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
এ ছাড়া ২০১২ সালে জনৈক বিচারপতির স্কাইপে কথোপকথনের অডিও ফাঁস নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর কার্যক্রম ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি পুনরায় তুঙ্গে ওঠে। এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিরোধী অংশ দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সাজানো নাটক বলে অভিহিত করে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন কিছু কিছু অভিযুক্তের পুনর্বিচারের আহ্বান জানায়।
সরকারপক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম ভণ্ডুল ও ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত ও বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ জনমত গঠনের অভিযোগ তোলা হয়। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে ধরে নেওয়া যায় ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার পরেই তরুণ প্রজন্মের শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয়। আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ আন্দোলন উত্তাল হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালে সংশোধিত আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ না থাকায় আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি আইনত অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগের বিধান রেখে আইনটি পুনরায় সংশোধন করা হয়। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর বিচার ও দণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল, আন্দোলন ও প্রচার ছিল উল্লেখ করার মতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি আরো তীব্র হয়। কিন্তু সরকারের এ বিষয়ে নীরবতাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখেছে বেশির ভাগ মহল।
যা হোক, আমরা মনে করি, মানবতাবিরোধীর বিচার সম্পন্ন হলে কলঙ্কমুক্ত হবে জাতি।
লেখক : ব্যারিস্টার অ্যাট ল’, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট