বহির্বিশ্ব

প্যানডোরার বাক্স খুলে দিল নিস্তব্ধ আয়লান

Looks like you've blocked notifications!

১.

নীরবেই পার হয়ে গেল সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্যতম গণহত্যার বার্ষিকী। বলছি, ২০১৩ সালের ২১ আগস্টের কথা। সেদিন সিরিয়ার দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ঘৌটা এলাকায় রাতের আঁধারে প্রাণঘাতী মাস্টার্ড গ্যাস মেশানো রকেট হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় এক হাজার ৪০০ মানুষকে, যাদের ৪২০ জনই ছিল শিশু। ঘটনাটি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। তাই সহজ হিসাব হলো, এ হামলার জন্য দায়ী বাশার আল-আসাদ অথবা তাঁর অনুগত কোনো বাহিনী। কিন্তু না, ওই গণহত্যার পর আঁতিপাতি করেও আসাদের কোনো মদদ খুঁজে পায়নি জাতিসংঘ ন্যাটো আর যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘটনার পর কোনোমতে নিজের ক্ষমতার কেন্দ্রে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলা এড়িয়েছিলেন বাশার। কারণ এমন একসময় এ ঘটনা, যখন দামেস্কে হামলা চালানোর মোক্ষম কোনো ছুতো খুঁজছিল ন্যাটো জোট। এটা নিশ্চিত যে, ঘৌটা হামলায় আসাদ সরকারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে এতদিনে বাশারকেও সাদ্দামের পরিণতি বরণ করতে হতো। আজো প্রমাণ মেলেনি, রাতের আঁধারে কারা ওই হামলা চালিয়েছিল। তবে হালের কন্সপিরেসি থিওরি বলছে, শত্রু এলাকায় ওমন বিধ্বংসী রাসায়নিক হামলা চালানোর মতো বোকা নন আসাদ; বরং তাঁর পতন ত্বরান্বিত করতেই বিদ্রোহী অধ্যুষিত ওই বেসামরিক এলাকায় পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। আর এ হামলায় জড়িত তারাই, আজো যাদের হাতে গোপনে পৌঁছে যায় সৌদি-মার্কিন অস্ত্রের চালান।

২০১৩ সালের ২১ আগস্ট দামেস্কের ঘৌটায় নিহত এই শিশুরা কি একেকজন আয়লান নয়?

সে জন্যই কি সাম্প্রতিক ইতিহাসের বর্বরতম একটি হত্যাযজ্ঞ নিয়ে নিশ্চুপ পুরো বিশ্ব? ওই ঘটনার পর আজ পর্যন্ত বিশ্ব বিবেকদের কণ্ঠে, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি মোড়লদের কণ্ঠে ‘আহ’ শব্দটা পর্যন্ত শোনা যায়নি। শ্বাসকষ্ট আর দম বন্ধ হয়ে মৃগী রোগীর মতো কাঁপতে কাঁপতে সে রাতে যে ৪২০টি শিশুর মৃত্যু হলো, ওরা কি একেকজন নিষ্পাপ আয়লান কুর্দি নয়?

 

২.

এই লেখা যখন আপনি পড়ছেন, ঠিক সে মুহূর্তেও সিরিয়ার রণাঙ্গনে কোনো না কোনো শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা কিংবা আসাদ অনুগত সাবিহা মিলিশিয়া, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি অথবা আইএস জঙ্গি—কারো কাছেই নিরাপদ নয় সিরিয়ার শিশুরা। কখনো ক্রসফায়ারে, কখনো গণহত্যায়, কখনো বা বিপক্ষ গোষ্ঠীকে স্রেফ ভয় পাইয়ে দিতে বহুমুখী নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে সিরিয়ার শিশুদের। বিপক্ষ দলের হামলা থেকে বাঁচতে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। বিভিন্ন দল-উপদলের যোদ্ধা আর জিহাদি জঙ্গিদের বিকৃত লালসার শিকার হচ্ছে সিরিয়ার শিশুরা। নব্বইয়ের দশকে আফ্রিকার দেশে দেশে চলা গৃহযুদ্ধের পর সাম্প্রতিক ইতিহাসে শিশু হত্যার এমন মহোৎসব আর কেউ দেখেনি। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৬০ জন। এদের ১০ হাজার ৬৬৬ জনই শিশু। ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা শিশু হত্যার সেসব বিস্তারিত নজির হাজির করেছে। পত্র-পত্রিকায় রোজ কোনো না কোনো রিপোর্ট হয়েছে। ‘সম্প্রচার উপযোগী নয়’ ব্যান্ডে শিশু নির্যাতনের শত শত সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করেছে বিশ্বের তাবত টেলিভিশন। তার পরও আধুনিক দাবি করা আমাদের এই আদিম সভ্যতার ঘুম ভাঙেনি।

সিরিয়া যেন দুনিয়ার বিচ্ছিন্ন কোনো এক দ্বীপ। যে দ্বীপের শিশুরা দূর পাহাড়ের গুহায় কোনো এক ডাইনি জাদুকরের হাতে বন্দি, যাদের মুক্ত করতে কোনো বাঁশিওয়ালা আসে না। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই দ্বীপের ফুটফুটে ছোট্ট আয়লানদের তুলতুলে শরীর বুলেটে-বোমায় ছিন্নভিন্ন হলেও দুনিয়ার কারো কিছু যায়-আসে না। এটা তো প্রভাবশালী কোনো দৈনিকের লাল ব্যানার হেডে ছাপা হওয়া নতুন কোনো শিরোনাম নয় যে, এ মুহূর্তে সিরিয়ার ৭৫ লাখ শিশুর মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। প্রতিবেশী তুরস্ক, জর্ডান আর লেবাননের আশ্রয়ে থাকা ২০ লাখ শিশু চার বছর ধরে শিক্ষাবঞ্চিত। স্কুলে ওরা যা শিখেছিল, সব ভুলে গেছে। আর ওদের যা মনে আছে, তা কেবলই দগদগে কদাকার মৃত্যুময় রক্তাক্ত স্মৃতি। এই দুনিয়ার ওপর ঘৃণার স্মৃতি। অবিশ্বাসের স্মৃতি।

আশ্রয়শিবিরে ওদের খাদ্যের জোগান তলানিতে এসে ঠেকেছিল। জাতিসংঘ বারবার ধনীদের তাগিদ দিয়ে বলেছে, ‘দয়া করে যে সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে, সেটা দাও। নয়তো শরণার্থী শিবিরের এই শিশুদের এই মানুষদের আর একবেলাও খাবার জোগান দেওয়া সম্ভব নয়।’ ইউএনএইচসিআর তার সেই প্রতিশ্রুত অর্থ পেয়েছিল কি না, আমাদের জানা নেই। কারণ, জাতিসংঘের ডাকে কারো ঘুম ভাঙে, এমন দৃষ্টান্ত বিরল।

 

৩.

আমরা শুধু জানি, আমাদের ঘুম ভেঙেছিল ইজিয়ান সাগরের নিস্তরঙ্গ সৈকতের কোলে ঘুমিয়ে থাকা এক ‘বিরাট শিশু’র আশ্চর্য নিস্তব্ধতায়। আমাদের ঘুমিয়ে থাকা স্বার্থপর বিবেক যখন চিৎকার করে কাঁদতে চাইল, আয়লান তখন ইজিয়ানের ক্যানভাসে নিস্তব্ধ এক শিল্পকর্ম। প্রাণহীন তবুও যেন প্রাণময় এক আশ্চর্য স্যান্ড আর্ট। প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে আমরা যে বিশ্ব ধরিত্রিকে কলঙ্কিত করে চলেছি; সমুদ্রের বালুকাবেলায় আমাদের সমস্ত পাপ উগড়ে দিয়ে আয়লান যেন গেয়ে গেছে ‘খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে, বিরাট শিশু আনমনে’।

সেই বিরাট শিশু আয়লান আমাদের মাকাল ফলের মতো চকচকে চেহারাখানা এক লহমায় ছিন্ন করে ভেতরকার কুশ্রী-কদাকার সব পাপ প্রকাশ করে দিল। নীরব-নিস্তব্ধ আয়লান যেন ইস্রাফিলের শিঙার মতো তীব্র নিনাদে সিরিয়ার শত সহস্র শিশুর ওপর ঘটে চলা অবিচারের কথা জানিয়ে দিল। ইরাক-সিরিয়ায়-ইয়েমেনে-লিবিয়ায়; সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিমা শক্তির যুগ-যুগের পাপের প্যানডোরার বাক্সটি যেন উন্মুক্ত করে দিল। হিপোক্রেসি করে হলেও অন্তত একবার আমরা আয়লানের মাতৃভূমি সিরিয়ার দিকে ফিরে চাইলাম। জীবনে যে সিরিয়া তাকে দাঁড়ানোর মাটি দেয়নি। যেমনটা দিচ্ছে না বেঁচে থাকা শত সহস্র আয়লানকেও। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর থেকেই দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটছে আয়লানরা। ইজিয়ানের বালুকাবেলায় আয়লানের শিল্পিত মুখ আমাদের আরো একবার সেই সত্যের মুখোমুখি করল।

হাঙ্গেরি সীমান্তে পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার অন্য রকম লড়াইয়ে মগ্ন এক বাবা ও তাঁর সন্তান। ছবি : এপি

এই কিছুদিন আগেও সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য কোথাও কোনো আশার বাণী ছিল না। ‘মানুষ আর মানবিকতা’র সব সীমা ছাড়িয়ে আয়লানরা যখন দলে দলে ইতালির ল্যাম্পেদুসা থেকে ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরে ভেসে বেড়াচ্ছে একটুখানি আশ্রয়ের আশায়; দাঁড়ানোর মাটি পাওয়ার আশায়; তখনো তাদের দূরদূর করে তাড়িয়ে দিল ইউরোপ। আয়লানদের ঠেকাতে ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরে তৈরি হলো কাঁটাতারের উঁচু বেড়া। সেই বেড়া ডিঙিয়েই ট্রেনে-লরিতে সওয়ার হলো কতশত আয়লান আর তাদের মা-বাবারা।

যে জার্মানি এখন শরণার্থীদের বরণ করে নিচ্ছে, সেই অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের ক’দিন আগের অবস্থানেই তো অবাক হতে হয়। ঘটনাটা গেল জুলাই মাসের। অস্থায়ী শরণার্থীর মর্যাদায় জার্মানিতে ছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী ও তার পরিবারের চার সদস্য। শিশুদের একটি অনুষ্ঠানে স্বয়ং চ্যান্সেলর মেরকেলকে পেয়ে স্থায়ী আশ্রয়ের আবেদন জানাল ওই কিশোরী। ক্রন্দনরত সেই কিশোরীর মুখের ওপরই তাকে ‘না’ বলেছিলেন মেরকেল। ঘটনাটি তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছিল। মেরকেলকে নিষ্ঠুর বলেছিলেন দুনিয়ার তাবত ‘সামাজিক’ মানুষ। সেই মেরকেল এখন কতই না হৃদয়বান। সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য তিনি খুলে দিয়েছেন জার্মানির দুয়ার। শিগগিরই আরো ৪০ হাজার সিরীয়কে ঠাঁই দেবেন তিনি। অবশ্য অনেকেই বলছেন, জার্মানির এই মানবিকতার আড়ালে বাণিজ্য বেসাতি। এ মুহূর্তে জার্মানিতে কর্মখালি আছে প্রায় চার লাখ ৯০ হাজার। সস্তা শ্রমের এমন বিপুল মওকা, যা কি না ভবিষ্যতে জার্মানির জন্য দ্বিগুণ লাভ হয়েই ধরা দেবে। আজকের শরণার্থী শিশুরাই হয়তো একদিন জার্মানির মূল ধারার আর্থিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।
গ্রিসের কস দ্বীপে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে আছেন সিরিয়ার এক মা। ছবি : রয়টার্স

 

৪.

যদিও ইউরোপের সবাই মেরকেলের মতো নন। হাঙ্গেরি আর ডেনমার্কের দেশগুলো মুসলিম নয়, বরং খ্রিস্টানদের আশ্রয় দেওয়ার মতো হাস্যকর প্রস্তাব দিয়েছে। গ্রিসের লেসবস, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া আর হাঙ্গেরির সীমান্তে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে অমানবিকতার কত না নিত্যনতুন নজির সৃষ্টি হয়ে চলেছে। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া জন্ম দিচ্ছে মর্মবেদনার কত না উপাখ্যান। সীমান্তে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে গিয়ে ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালায় কান্না ভুলেছে কত না আয়লান। তুরস্কের যে সাংবাদিক এই বিশ্ব সভ্যতাকে আয়লানের মুখোমুখি করেছেন; হাঙ্গেরির একই নারী সাংবাদিক সীমান্তে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে থাকা সিরিয়ার শরণার্থী পিতাকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছেন। বাবার কোলে থাকা ছোট্ট শিশুটি ছিটকে পড়েছে দূরে। সেই শিশুর কান্না আর তার বাবার অসহায় নিষ্পলক চাহনি হাঙ্গেরির হৃদয় স্পর্শ করেনি। সব আয়লান সবার হৃদয় স্পর্শ করবে, এমন আশা করাও ভুল। যেমন ভুল আরব বিশ্বের ঘুম ভাঙার অপেক্ষা করা। সিরিয়ার শরণার্থীদের এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও আয়লানের মতোই নিস্তব্ধ আরব বিশ্ব। অথচ সারা দুনিয়া জানে, শিয়া-সুন্নি সংঘাত বাধানোর সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের যে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র; তার ফলাফলই তো আজকের ইরাক, সিরিয়া কিংবা ইয়েমেন! ইতিহাস নিশ্চয়ই মধ্যপ্রাচ্যের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের এই সীমাহীন পাপাচারের কথা যুগ যুগ ধরে স্মরণে রাখবে।

ইজিয়ানের বালুকাবেলায় নিস্তব্ধ আয়লান এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাপাম বোমার আগুনে পোড়া শিশু কিম ফু

যেমন ৫০ বছর পরও আমরা স্মরণে রেখেছি, মৃত্যুভয়ে আক্রান্ত ভিয়েতনামের সেই নগ্ন শিশুর কথা। সম্পাদকীয় নীতির দোহাই দিয়ে যেসব পশ্চিমা গণমাধ্যম তার পাঠক দর্শককে আয়লানের এই মর্মান্তিক ছবির মুখোমুখি করা থেকে বিরত থেকেছে, তারা আজ ব্যর্থ। কারণ, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। চোখ বন্ধ করে থাকলেও আয়লানদের মুখোমুখি হওয়া থেকে পালিয়ে বাঁচা যায় না। গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা বলছেন, আয়লানের এই ছবি আমাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়ভাঙা ইতিহাস। যে ছবির কাছে আমাদের বারবার ফিরে যেতে হবে। মুখোমুখি হতে হবে। যে কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো এক আনা ফ্রাঙ্ক আজো আমাদের কাঁদায়। আমরা বারবার আনার ইতিহাসের কাছে ফিরে যাই। একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাপাম বোমার আগুনে পুড়ে যাওয়া নগ্ন শরীর নিয়ে প্রাণপণে দৌড়াতে থাকা ভিয়েতনামের শিশু কিম ফুকে আমরা আজো ভুলতে পারি না। আয়লানকেও আমরা ভুলব না। কারণ, ভবিষ্যতের কোনো না কোনো পাপের হিসাব দিতে গিয়ে নিশ্চয়ই আরো অসংখ্যবার আমাদের অতীতের পাপের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা আয়লানের মুখোমুখি হবো আরো লাখো কোটিবার।

লেখক : বার্তা সম্পাদক, একাত্তর টেলিভিশন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘আল-কায়েদা থেকে আইএস’ বইয়ের লেখক।

sujonkabir@gmail.com