বিজয়ের মাস

মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের ভূমিকা

Looks like you've blocked notifications!

আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়। সত্যিই তাই, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের সোনার বাংলা। নয় মাসের ক্লান্তিহীন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে স্বাধীনতা। যে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁরই নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিকামী নেতাকর্মীরা। যার সমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।

১৯৭১-এর মার্চের শুরুতে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের স্বরূপ প্রকাশ পেতে থাকে। মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী লোক দেখানো আলোচনার অন্তরালে ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রস্তুতি নিতে থাকে। অন্যদিকে হরতাল, কারফিউ ভঙ্গ, আন্দোলনে সমগ্র দেশ উত্তাল। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় মুখর হয়ে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি। এই প্রেক্ষাপটে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিলে শুরু হয়ে যায় স্বাধীনতার প্রস্তুতি। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক দলের মতো ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন জানায়। একই সঙ্গে জনগণকে প্রস্তুত করার জন্য রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময়ে এ তিনটি সংগঠনের কাজের মূল ধারার মধ্যে ছিল :

১. স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থনের জন্য ব্যাপক জনমত গঠন করা।

২. প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেড গঠন এবং জেলার সর্বত্র ছাত্র, যুব ও নারীদের সংগঠিত করে তাঁদের সামরিক ও গরিলা ট্রেনিংয়ের আওতায় আনার প্রস্তুতি নেওয়া।

৩. শিল্পী-সাহিত্যিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের স্বাধীনতার পক্ষে সংগঠিত করা।

৪. সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য তাদের তৈরি করা।

৫. যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে অস্ত্র জোগাড় করা এবং প্রশিক্ষক খুঁজে বের করা।

এই তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় স্বাধীনতার পক্ষে প্রস্তুতি নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পার্বত্য জেলা পর্যায়ের এসব কাজের মূল নেতৃত্বে ছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিক, দেওয়ান মো. আলী, আবু তাহের মাসুদ, শাহ মোহাম্মদ খোরশেদুল ইসলাম, তপন দত্ত প্রমুখ শ্রমিক নেতা। ন্যাপ নেতাদের মধ্যে ছিলেন আহমেদুর রহমান আজমী, পুর্ণেন্দু দস্তিদার, নুরুন্নবী, আবদুল হাই, শফিউল আলম, বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী, সৈয়দ আবুল ফজল মাইজভান্ডারী, জহিরুল হক, বখতেয়ার নোমানী, অমল নাথ প্রমুখ।

পুর্ণেন্দু কানুনগো, আবদুস সাত্তার, অনঙ্গ সেন, ধীরেন দাস, কালিপ্রদ চক্রবর্তী প্রমুখ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। আবুল হায়াত ও মোহাম্মদ মুসা ছিলেন কৃষক নেতা। আর যাঁরা ছাত্র নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা হলেন মাহবুবুল হক, গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, শামসুজ্জামান হীরা, আবদুল আওয়াল, শাহ আলম, বালাগাত উল্লাহ, আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ ইউসুফ, আলাউদ্দীন প্রমুখ। কক্সবাজারে এ তিন সংগঠনের মূল নেতৃত্বে ছিলেন সুরেশ সেন, সুভাস দাশ, রাখাল সরকার প্রমুখ; রাঙামাটিতে এ তিন সংগঠনের নেতৃত্ব দেন জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, সুনীল কান্তি দে, বাবুল দে, মেমা চিং লিলি, আবদুর রশীদ, দিলীপ দে, আবুল কাশেম প্রমুখ; সব শ্রেণির মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।

১৫ মার্চ ১৯৭১ চট্টগ্রামের সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজলের নেতৃত্বে লালদীঘিতে শিল্পী-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতিরোধ সংঘ স্বাধীনতার পক্ষে যে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে, তার নেপথ্যে কাজ করেছে এ তিন সংগঠনের নেতাকর্মী-সংগঠকরা। ওই সময়ে চট্টগ্রামের নারীসমাজকে সংগঠিত করার কাজেও এ তিন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত হয় মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা। ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের জে এম সেন হলে মহিলা পরিষদ স্বাধীনতার পক্ষে নারী সমাবেশের আয়োজন করে, সেখানে কবি সুফিয়া কামাল ও মালেকা বেগম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

২৩ মার্চ চট্টগ্রাম হোস্টেলের উত্তর পাশে প্যারেড ময়দানে যে বিশাল শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশ হয়, সেটার আয়োজনেও ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিউন নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা লক্ষ করা যায়।

২৪ মার্চ সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস বন্ধ করার জন্য ঘেরাও আন্দোলন হয়। জাহাজটি ছিল পাকিস্তানের শিপিং করপোরেশনের খাদ্যবাহী জাহাজ। ওই জাহাজে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য চালের নিচে লুকিয়ে অস্ত্র আনা হচ্ছিল—এ তথ্য পেয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। বন্দর থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নসহ সর্বদলীয় নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়।

৪ মার্চ মাদারবাড়ী এলাকায় অস্ত্রের গুদাম লুট করে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র সংগ্রহ করেন ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এসব অস্ত্র ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য গোপনে বেগম মুসতারী ও ডা. শাফির এনায়েত বাজারের বাসভবনে লুকিয়ে রাখা হয়। কিন্তু  পরে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওই বাড়ি ঘেরাও করে এবং ডা. শাফিকে হত্যা করে।

২৫ মার্চ রাতে ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বে বাঙালি সেনারা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ করলে এই তিন সংগঠনের নেতারা বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ ও বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী।

২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ হলে ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন কালুরঘাট থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বেতার সম্প্রচারের মাধ্যমে বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। আবুল কাসেম ও বেলাল মোহাম্মদ ছিলেন এর মূল কারিগর। তাঁরা দুজনেই ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির পরম শুভাকাঙ্ক্ষী।

২৮ মার্চ হানাদার বাহিনী পুলিশ লাইন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা টাইগার পাস হিল দখল করে এবং চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সদর দপ্তর স্থাপন করে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এই তিন দলের নেতারা ভবিষ্যৎ গেরিলা যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের গ্রামাঞ্চলে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে তাঁরা আসেন বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী গ্রামের বখতেয়ার নোমানী বাড়িতে। তার পর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যেমন : গোমদণ্ডী, সারোয়াতরী, করলাডাঙ্গা, পাহাড়, পটিয়ায় তারা যুবকদের যুদ্ধের ট্রেনিং দিতে থাকে।

১১ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দখল করে নেয় এবং পটিয়ায় বোমাবর্ষণ করলে শ্রমিক নেতা চৌধুরী হারুনুর রশিদ ও আহসান উল্লাহ চৌধুরী সেখান থেকে পালিয়ে আগরতলা যেতে সমর্থ হলেও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী পুর্ণেন্দু দস্তিদার ৯ মে ডিজিটলংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা নিরাপত্তার কথা ভেবে চট্টগ্রামের দক্ষিণের আরো প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ার সিদ্ধন্ত গ্রহণ করেন এবং কর্মী-সমর্থক ও পরিবার-পরিজনকে পটিয়া-বোয়ালখালী-বেতাগী-বাগোয়ান-আন্ধারমানিক-রাউজান-ফাটকছড়ি-রামগড় হয়ে সাবরুমে ভারতীয় সীমান্তে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু রাউজানে মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর চেলাদের কারণে ওই পথে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বখতেয়ার নোমানী, মাহবুবুল হক, গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও শাহ আলমের সমন্বয়ে গঠিত চারজনের একটি অগ্রবর্তী দল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হানাদার অধিকৃত চট্টগ্রাম শহরের ভেতর দিয়ে মিরসরাই-বুড়বুড়িয়া ঘাট-বড় লস্কর হাট-কালীদহ-পীরবক্স মুন্সীর হাট-ফুলগাজী-বেরোনিয়া হয়ে আগরতলা পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাঁদের এই সফল অভিযানের ফলে পরবর্তী এই রুট আগরতলা যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। বখতেয়ার নোমানী, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ নেতাদের এই পথ দিয়ে আগরতলায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করেন।

আগরতলায় ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ক্র্যাফস হোস্টেলে থাকতেন। এখান থেকে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার জন্য সক্রিয় ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কমরেড মণি সিংহ, মোজাফ্ফর আহমদ, মোহাম্মদ ফরহাদ, মতিয়া চৌধুরী, জ্ঞান চক্রবর্তী, অনিল মুখার্জি, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মতিউর রহমান, শেখর দত্ত, আবদুল হাদী প্রমুখ। চট্টগ্রামের নেতাদের মধ্যে ছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী, খোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ। নারী নেত্রী বেগম মুসতারী শফি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মোহাম্মদ বেলালও এই হোস্টেলে কিছুদিন ছিলেন। কমান্ডার আবদুর রউফ ও ড. আনিসুজ্জামান এখানে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন।

এর পর আগরতলায় কর্তাবাড়িতে রিক্রুটিং সেন্টার ও অফিস গড়ে তোলা হয়। বাংলাদেশ থেকে পৌঁছানো কর্মী ও সংগঠকরা এখানে আশ্রয় পেতেন, তার পর প্রাথমিক বাছাইয়ের পর কিছু প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের মধ্য থেকে গেরিলা যুদ্ধের জন্য যোদ্ধা বাছাই করা হতো। এর পর তাঁদের গেরিলা যুদ্ধের জন্য আসামের তেজপুর ক্যাম্পে পাঠানো হতো, প্রশিক্ষণ শেষে তারা আবার এখানে ফিরে আসত এবং এখান থেকেই দেশের ভেতর তাদের ইন্ডাকশনের ব্যবস্থা করা হতো। কমিউনিস্ট পার্টির মতিউর রহমান ও শেখর দত্ত এই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন এবং ক্যাম্প পরিচালনা করতেন ছাত্রনেতা মাহবুবুল হক।

পরে বড় দুয়ারিতে আরো একটি ক্যাম্প তৈরি করা হয়, যার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুনজুরুল আহসান খান, ইয়াফেস ওসমান, নিজামুদ্দিন ও মাহবুবুল হক। এখানে নতুন রিক্রুটদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এই ক্যাম্প থেকেই গেরিলা ট্রেনিং শেষে দেশের ভেতর এ ইন্ডাকশনরে সময় নিজাম উদ্দীন আজাদসহ কয়েকজন গেরিলা বেতিয়ারায় শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আগরতলা থেকে নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নিরলস কাজ করেছেন, গেরিলারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপুল মারণাস্ত্র সজ্জিত পাক্স্তিানি হানাদারদের মোকাবিলা ও পর্যুদস্ত করেছেন। দেশের অভ্যন্তরে বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গেরিলাদের আশ্রয় দিয়েছেন, সহায়তা করেছেন। ভারতীয় জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন, এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়াসহ বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোসহ বিশ্বের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকামী ও প্রগতিশীল জনগণ আমাদের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। এভাবে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জয় হয়েছে। বিশ্বসভায় উড়তে শুরু করল লাল-সবুজের পতাকা।

লেখক : সাবেক সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট