স্মরণ

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

Looks like you've blocked notifications!

কোনো জাতি বা জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক আচার-বিচার, বিশ্বাস ও প্রবণতাকে সমন্বিতভাবে বলা হয় ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি’। এতে জনসমষ্টির মন-মানসিকতা, আচার-ব্যবহার, মেজাজ-মূল্যবোধ ও ভাব-উদ্দীপনা প্রতিফলিত হয়। রাষ্ট্রনেতারা এসব ধারণ, লালন এবং অনুশীলন করেন। কোনো কোনো রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্র ও সমাজের এসব বিষয়-বৈশিষ্ট্যকে আত্মস্থ করেন এবং নিজ বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা ও নির্দেশনা দ্বারা সমৃদ্ধ করেন। গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তাঁর হাতে হয়ে ওঠে স্বকীয় এবং স্বতন্ত্র। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়াউর রহমান ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি বহমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে নতুন অবয়বে, নতুন কাঠামোতে এবং নতুন ঔজ্জ্বল্যে প্রতিস্থাপন করেন।

বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মধ্য আগস্টে সংঘটিত বেদনাদায়ক ঘটনাবলি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে একটি বাঞ্ছিত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তাঁর প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে দুটো বড় কাজ—১. সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ২. রাষ্ট্র কাঠামোতে নিয়মতান্ত্রিকতা নিশ্চিত করা তাঁর বড় কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনীপ্রধান হিসেবে তিনি ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ সময়কালে বিপথগামী ‘বিপ্লবীদের’ কবল থেকে সেনাবাহিনীকে রক্ষা করেন। যারা সেনাবাহিনীর রাজনীতিকীকরণে পরিকল্পিত আন্দোলন পরিচালনা করছিল, তাদের বিরুদ্ধে সংগতভাবেই জিয়াউর রহমানকে কঠিন ও কঠোর হতে হয়। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেন, “Zia saved Bangladesh military from an impending doom” (Marcus Franda : 1982:258)। রাষ্ট্র কাঠামোতে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ধারাবাহিকভাবে নিয়মতান্ত্রিকতা নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতি বিযুক্ত করেন। এভাবে তাঁর ক্রমশ অনুসৃত ‘বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া’ (Civilianization Process) গণতান্ত্রিক রাজনীতির গণভিত্তি স্থাপন করে। এভাবে প্রচলিত প্রবাদ ‘Slwo & steady win the race’ তাঁর ক্ষেত্রে সত্য হয়ে দাঁড়ায়।

তাঁর ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির’ লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ‘জাতীয় ঐক্য’। এটা প্রমাণিত হয় যে তাঁর রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। প্রথমত, তিনি ডান-বাম এবং মধ্যপন্থী সবাইকে আমন্ত্রণ জানান। দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল—জাগদল’-এর বিলুপ্তি ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি গঠন করেন। বিশ্লেষকরা বিএনপিকে এভাবে বিশ্লেষণ করেন, ‘Left from the right and Right from the left’, অর্থাৎ বিএনপি মধ্যবর্তী প্রগতিশীল রাজনীতির ধারা অনুসরণ করে। তৃতীয়ত, ১৯৭৯ সালে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন এতে সব দল ও মতের প্রতিনিধিত্ব লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে ব্যক্তি, দল ও আদর্শের এমন মিথস্ক্রিয়া আর লক্ষ করা যায়নি। তিনি বিভাজনের রাজনীতিকে ঐক্যের রাজনীতিতে পরিণত করেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সহিষ্ণু এবং সংযমী। ‘রাজনৈতিক দল বিধি, ১৯৭৭’-এর আওতায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিবন্ধন লাভ করে। ইসলামী দল বা কমিউনিস্ট পার্টি কারো জন্য তিনি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াননি।

রাজনীতিকে তিনি নিতে চেয়েছিলেন জনগণের দোরগোড়ায়। তিনি যখন বলেন, ‘I will make politics difficult’, তখন তাঁর অর্থ এই যে তিনি রাজনীতিকে গ্রামের মানুষের কাছে নিতে চান। রাজধানীকেন্দ্রিক ‘প্রাসাদ রাজনীতির অবসান চান’। তিনি মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে চেয়েছেন কর্মপ্রবাহে এবং উৎপাদনশীলতায়। তাঁর খাল কাটা কর্মসূচি, খাদ্যশস্য দ্বিগুণকরণ পরিকল্পনা, পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প, গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল সৃষ্টি এবং যুব উন্নয়ন কর্মসূচি—সবকিছুই ছিল উন্নয়ন উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। এভাবে তিনি অলস, আমুদে এবং কোন্দল আকীর্ণ একটি জনগোষ্ঠীকে কর্মচাঞ্চল্য প্রদান করেন। তাঁর উন্নয়ন কৌশলের (Development Strategy) উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। জিয়াউর রহমানের মেধা, মনন এবং কুশলতা তাঁকে রাজনীতির উচ্চ মার্গে স্থাপন করে । “Zia’s talent to quickly transformed himself into an astute politician is clearly reflected by his discrete engineering of events that took him to the top the political hierarchy’ (Habib Jafrullah :1996:VIII)।

জাতীয় পরিচয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তিনি জাতীয়তাবাদের সব উপাদানকে সমন্বিত করেন। তাঁর লিখিত একটি জাতির জন্মনিবন্ধে তিনি ভাষা, ধর্ম, ভৌগোলিক অবস্থান, নৃতাত্ত্বিক গঠন, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং অর্থনীতি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বর্ণনা করেন। এসবের ভিত্তিতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি নির্মাণ করেন। বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর নাড়ির টান তিনি বুঝতে পারেন। সে জন্য জনগণের সতত অনুভূতির স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে (ক) বিসমিল্লাহ সংযোজিত হয়, (খ) আল্লার প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপিত হয়, (গ) ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র পরিত্যক্ত হয়, (ঘ) মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়। “He (Zia) used popular Muslim traditionalism against class conflict and tried to neutralise class elements” (Alam 1993: 315-16; Jagangir 1986: 82-83) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন স্বাভাবিক ধার্মিক। আনুষ্ঠানিক বা দৃশ্যমাণ ধর্ম-কর্ম অনুশীলনের পরিবর্তে তিনি অনানুষ্ঠানিকতা এবং অদৃশ্যমানতা অগ্রাধিকার দিতেন। প্রকৃতপক্ষে সকল বিবেচনায় তিনি ছিলেন মধ্যপন্থী।

তিনি ঘরে-বাইরে শান্তি, স্থিতি এবং জাতীয় স্বার্থের অনুকূল নীতি গ্রহণ করেন। তিনি রাজনৈতিক চরমপন্থী এবং সমাজবিরোধীদের দমন করেন। কূটনৈতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের মোরালজি দেশাই সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেন। এসবই ছিল সমাজে এবং দেশে কুশলতার সঙ্গে স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রয়াস। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তাঁর অর্জন এভারেস্টচুম্বী। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় জগতে তিনি নন্দিত হন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করে। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় পৌঁছে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক এবং নিষ্ঠাবান। তিনি শুনতেন বেশি বলতেন কম। বিশেষ করে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে তাঁর ধারণা ছিল অস্পষ্ট, তিনি বিশেষজ্ঞদের ডেকে সে বিষয়ে পরামর্শ নিতেন। সেটি রাজনীতি থেকে পরিকল্পনা কমিশন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কখনো কখনো প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামানকে নিয়ে যেতেন দূর প্রবাস সফরে। দল পরিচালনায় তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেন। দলের পদসোপান মেনে চলতেন। নেতাকর্মীদের কথা ধৈর্যসহকারে শুনতেন। ব্যক্তিগত আবেদনের চেয়ে সমষ্টির আবেদনে সাড়া দিতেন। দলের নেতাকর্মীরা তাঁর স্তুতি শুরু করলে তিনি ধমক দিতেন। তিনি চাইতেন বিএনপির কর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কখন কখন নিজেই প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করতেন। অবশেষে তিনি ছাত্ররাজনীতির অনুমোদন দিয়েছিলেন। ছাত্রদের রাজনীতির সোপান হিসেবে ব্যবহার করার চেয়ে তিনি ছাত্রদের জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করতেন এবং চাইতেন ছাত্ররা দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে উঠুক। ছাত্রদের নেতৃত্বে কোনো অপরাধ প্রবণতা দৃশ্যমান হলে তিনি ব্যবস্থা নিতে কুণ্ঠিত হতেন না।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অসম্ভব রকম সৎ, কর্তব্যপরায়ণ এবং পরিশ্রমী। তাঁর মৃত্যুর পরে দেখা গেল, তিনি পরিবারের জন্য এক ইঞ্চি জমি রেখে যাননি। যাঁরা জিয়াউর রহমানের ছেঁড়া বাক্স, ছেঁড়া গেঞ্জি দেখে উপহাস করেন, তাঁরা নিরাভরণ জীবন সম্পর্কে চিন্তা করতে অসমর্থ বলেই ওসব কথা বলেন। পোশাক-আশাকে, আহারে-বিহারে তিনি ছিলেন অসম্ভব সহজ-সরল। তিনি সাফারি পরিধান করতে পছন্দ করতেন। বিদেশে ভ্রমণের পর বেঁচে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা ফেরত দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা আহার করেছেন, তাঁরা অতিসাধারণ আয়োজন দেখে হতাশ হয়েছেন। তিনি তাঁর সেনানিবাসের বাসায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করেন। সব সময় দেশি ফলমূল অগ্রাধিকার দিতেন। বিলাস-ব্যাসন, আরাম-আয়েশ কখনো তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি ছিলেন অসম্ভব পরিশ্রমী। তিনি নিষ্ঠাবান সময়ানুবর্তী। তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থহীন আনুগত্যকে মূল্য দিতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিজেও ছিলেন অনুগত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর জ্যেষ্ঠতা অতিক্রম করে যখন অন্য কাউকে সেনাপ্রধান করা হয়, তখন তিনি টুঁ শব্দটি করেননি। তিনি সরকারের প্রতি সব সময় অনুগত ছিলেন। সেনাবাহিনীর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি ছিলেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। সিদ্ধান্তের জন্য কখনই ফাইল তাঁর টেবিলে স্তূপ হয়ে পড়ে থাকত না। প্রায় প্রতিদিন সকালে বের হতেন। সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হেঁটে বেড়াতেন তিনি। মার্কিন সাংবাদিক মার্কাস ফ্রান্দা মন্তব্য করেন যে, তিনি (জিয়াউর রহমান) শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী এবং শেখ সাহেবের চেয়ে সম্ভবত বাংলাদেশকে বেশি নিবিড় করে দেখেছেন। (Marcus Franda : ১৯৮২ )

জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনী এবং রাজনীতিতে সমঝোতা, সহমর্মিতা এবং আস্থার প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন। মানুষের ওপর এত আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য দিতে হয় তাঁকে অবশেষে। তাঁর হত্যাকারী ছিল তাঁরই পরিচিতজন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম যাত্রার পূর্বেই সামরিক গোয়েন্দাদের তরফ থেকে তাঁকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তিনি বিশ্বাসী করতে পারেননি যে, বিশ্বস্ত কেউ তাঁর নিষ্ঠুর ঘাতকে পরিণত হতে পারে। তাঁর নির্মম মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবারও জাতীয় ঐক্য সূচিত হয়। সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক বিরোধ বিদূরিত হয়। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিজনিত নেতৃত্বের শূন্যতা তৎকালীন সেনাবাহিনীপ্রধানকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তোলে। সেনাবাহিনীতে পেশাদারিত্ব (Professionalism) ফিরিয়ে আনার এবং সেনাবাহিনীকে ক্রমশ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন, তার অবসান ঘটে। দেশ নিক্ষিপ্ত হয় সেনাবাহিনীর একনায়কত্বে। সন্দেহ নেই যে, জিয়াউর রহমানও একজন ‘সৈনিক থেকে রাজনীতিক’ (Soldier turned politician)। কিন্তু পার্থক্য এই যে, জিয়াউর রহমান জনগণের আস্থা, ভালোবাসা এবং বৈধতা অর্জন করেছিলেন। “Zia weaved a new pattern in state craft and left behind a legacy rejected by the cynics but intensely revered by his followers and admirers” (Habib Jafrullah :1996:179)। সমসাময়িক রাজনৈতিক সামরিক নেতৃত্বে এটি একটি বিরল ঘটনা । জিয়াউর রহমানের স্বকীয় ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির’ ফসল এটি। এই স্বাতন্ত্র্যের জন্য ‘টেকনাফ-তেঁতুলিয়া জিয়া আছে দেশ জুড়িয়া’। একজন জীবিত জিয়ার চেয়ে একজন মৃত জিয়া অনেক শক্তিশালী, গত কয়েক দশকের রাজনৈতিক ঘটনাবলি তার প্রমাণ। তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন। চিরদিন বেঁচে আছেন বাংলাদেশের সবুজ ধানের শীষে। শহীদ জিয়ার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে লাখো মানুষের আকুতি ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান’।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।