বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা সৌদি গভর্নরের
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠককালে এ প্রশংসা করেন।
গভর্নর বিগত কয়েক বছরে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তা খুবই আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন। তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নতির বিষয়ে খবর রাখেন বলে জানান।
গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের বিষয়ে তাঁর স্মৃতি তুলে ধরেন। আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি দুদেশের সম্পর্ককে আত্মিক সম্পর্ক বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানসম্মত পোশাক পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকার বাজারে তিনি প্রায়ই বাংলাদেশের পোশাক পণ্য দেখে থাকেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে। এ অঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, তিনি তাঁদের নিজের লোক বলে মনে করেন। তাঁদের সাহায্য সহযোগিতা করা তিনি তাঁর দায়িত্ব বলে মনে করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী গভর্নরকে জানান সৌদি আরবের বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা নিবন্ধন করার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন তার এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই তাঁদের ব্যবসা নিবন্ধন করার সুযোগ পাবে।
রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে বলেন, সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। সৌদি আরবের মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পর্যটক বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের কথাও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত করোনায় আক্রান্ত অভিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাসের ১৫ লাখ ডোজ টিকা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূত সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।