মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নে। জুম প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোচনায় যুক্ত হন মেলবোর্নে থাকা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আলোচনায় উঠে আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদের বাণী। বক্তারা বলেন, খুনিরা শুধু একটি পরিবারকে নয়, বরং স্বাধীনতার মূল চেতনাকে খুন করার চেষ্টা করেছে।
মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনা সভার কথা জানানো হয়।
ঢাকা থেকে টেলিফোনে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে খুন করা হলেও বঙ্গবন্ধুর চেতনার বিনাশ হয়নি; বরং সেই চেতনা ছড়িয়ে গেছে কোটি মানুষের মাঝে। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পান, করোনার ছোবল আর বন্যার ভয়াবহতার পরও শক্ত হাতে দক্ষতার সঙ্গে শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নীলিমা আকতার বলেন, “বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতার স্বাদই এনে দেননি, এর আগে আমাদের মাঝে স্বাধীনতার সাধও জাগিয়েছিলেন তিনিই। তাই ‘জীবন-মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’ তিনি রয়েছেন আমাদের হৃদয়ে!”
আলোচনায় মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার (পান্নু) বলেন, ‘বাংলার মানুষ ইতিহাসের এ নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভোলেনি। তাই দাবি একটাই, এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন।’
মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ মনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো কিনা সন্দেহ। তারপরও কিছু খুনি এখনো পালিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। বাকি খুনিদের ফিরিয়ে এনে ইতিহাসের নৃশংসতম এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পূর্ণতা দিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন দলে ভিড় করেছে হাইব্রিড আর ছদ্মবেশী নেতাকর্মী। যাদের অপকর্মে বদনাম হচ্ছে স্বাধীনতার মহান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির।’ তাঁর আশা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে থাকা হাইব্রিড, ছদ্মবেশীদের শক্ত হাতে দমন করবেন।
প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন ডা. তুহিন তারিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে গোটা বাঙালি নয়, বরং যুক্ত ছিল একটি কুচক্রী মহল। যারা ছিল মূলত মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বিরুদ্ধের শক্তি।’
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন ড. নজরুল ইসলাম, ড. প্রফেসর ফিরোজ আলম, ড. শুভজিৎ রয়, ফেরদৌস আরা পারভীন, মনসুর আহমেদ, আনিসুল ইসলাম হাবীব প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু পরিষদ মেলবোর্নের কাজের আওতা আরো বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।