সিঙ্গাপুরে বিজয় দিবস উদযাপন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/18/photo-1450454157.jpg)
সিঙ্গাপুরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪৫তম বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ডেস্কার রোডের ফখরুদ্দিন হোটেলে গত বুধবার সন্ধ্যায় এ উযাপন অনুষ্ঠান হয়।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও তরুণ লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহসাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ পান্না।
তরুণ লীগের সভাপতি মাহবুব আবেদীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম ভূঁইয়া সজীবের সঞ্চালনায় রফিক আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে, এই বিজয় অন্য সব বিজয় দিবসের চেয়ে আনন্দময়। আশা করি, স্বাধীনতা দিবসের আগে আরো কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যকর হবে।’
প্রধান বক্তা যুবলীগের সভাপতি মো. আল আমিন বলেন, ‘প্রকৃত দেশপ্রেমিক কখনো দেশদ্রোহীদের সঙ্গে আপস করতে পারেন না। পাকিস্তান একাত্তরের নৃশংসতার দায়ভার এড়িয়ে গিয়ে তাদের বন্ধুদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আমরা এর নিন্দা জানাই।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস হলেও একাত্তরের এই দিনেও আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। জীবন বাজি রেখে যে নেতা বাংলাদেশ গড়েছেন, সে নেতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবই।’
ছাত্রলীগ সভাপতি বিল্লাল হাওলাদার বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নতুন পন্থা অবলম্বন করে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, তারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ফুল দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই অন্যায় মেনে নেবে না।’
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ, শহীদের সন্তানের মুখের হাসি আর বীরাঙ্গনার চোখের জল মোছাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিকরা বীরাঙ্গনা মাকে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই।’
দুই শতাধিক জনতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুবলীগ নেতা সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফিন আরিফ, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ আহমেদ, ইব্রাহিম হাওলাদার প্রমুখ।