মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরামের বর্ষবরণ উৎসব

বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উপলক্ষে বর্ষবরণ উৎসব আয়োজন করেছে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন। গত রোববার কুয়ালালামপুরে ক্রাফট কালচারাল সেন্টারে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। আনন্দঘন পরিবেশে তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
গত রোববার মালয়েশিয়া সরকারি ছুটি থাকায় বর্ষবরণ উৎসবে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কালচারাল সেন্টারে জড়ো হন বাংলাদেশিরা।
সকাল ৯টা থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কুয়ালালামপুরে ক্রাফট কালচারাল সেন্টারে প্রবেশ করে প্রবাসীরা। নয়নাভিরাম কারুকাজে সাজানো কুয়ালালামপুরে ক্রাফট কালচারাল সেন্টারে ছিল লাল-নীল আলোর খেলা। প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণীদের পরনে ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি, তরুণরা পরে ছিল হরেক রকমের পাঞ্জাবি।
বর্ষবরণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালিদের মধ্যে চলে আসে প্রাণের স্পন্দন। বারবার কথায় কথায় ফিরে আসে বাংলা মা, মাতৃভূমির কথা। আড্ডা আর গানের তালে তালে নাচে উঠে আসে বাঙালিয়ানার ছাপ। অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন আমেজ।বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয় এক আড্ডার মাধ্যমে। আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে কুয়ালালামপুরে ক্রাফট কালচারাল সেন্টার। স্টলে থাকা পান্তা-ইলিশের ঘ্রাণে সুবাস ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। পরে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়ে। অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে এক টুকরা বাংলাদেশ।
‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানে তরুণ-তরুণীরা হারিয়ে যায় সুরের মূর্ছনায়। অনুষ্ঠানের আরেক আকর্ষণীয় দিক হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক আবদুর নুর তুষারের নান্দনিক উপস্থাপনা।
গানে গানে, কথার মালায় ও কবিতা আবৃত্তিতে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে আরো প্রাণবন্ত। দেশবরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের গানে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নাচতে শুরু করেন।বর্ষবরণ উৎসবের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ফকরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচারাল মন্ত্রী ওয়াইবি দাতু শ্রী মো. নাজরি বিন আবদুল আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম এবং ক্রাফট মালয়েশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল পোয়ান হাজা জুরাইদা বিনতে মুক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার মো. ফয়সাল আহমেদ, কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, কনস্যুলার (পলিটিক্যাল) রইস হাসান সারোয়ার, দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় কুমার দাস, ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) শাহিদা সুলতানা, ফার্স্ট সেক্রেটারি মুশরাত জেবিন, অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ডা. শংকর পোদ্দার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবুল বাশার, অধ্যাপক ড. আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশিদের ভ্রাতৃত্ববোধ, দেশের প্রতি টান দেখে অভিভূত হন মন্ত্রী ওয়াইবি দাতু শ্রী মো. নাজরি বিন আবদুল আজিজ।