মালয়েশিয়ায় বিএসএন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আয়োজন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস নাইটে (বিএসএন) আউটস্ট্যান্ডিং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী এম এইচ এম মুবাশশির। মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত।
এম এইচ এম মুবাশশির ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ছাত্রদের স্বীকৃত সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস সোসাইটির’ হেড অব কালচার, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়ার’ ভাইস প্রেসিডেন্ট, নিজ পড়াশোনার বিভাগ ফ্যাকাল্টি অব বায়োসায়েন্স অ্যান্ড মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ‘পোস্টগ্রেড স্টুডেন্ট সোসাইটির’ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অফিশিয়াল সংগঠন ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির’ হেড অব কালচারের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিতর্কের মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত। তাঁর বানানো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য ক্লে’ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি, স্পেন, ভারত, বসনিয়া, নাইজেরিয়া, পোল্যান্ড, চীনসহ পৃথিবীর ২৫টির বেশি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। অর্জন করেছে ‘বেস্ট আর্ট ফিল্ম’, ‘স্পেশাল ফেস্টিভ্যাল মেনশান’, ‘বেস্ট এডিটর’সহ কয়েকটি পুরস্কার।
এম এইচ এম মুবাশশির মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার একমাত্র ছাত্র, যিনি ‘ওয়ার্ল্ড লেকচার কম্পিটিশন’-এর ফাইনাল রাউন্ডে (ন্যাশনাল লেভেল) কোয়ালিফাই করেন এবং ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড জেতেন। এ ছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া আয়োজিত ম্যাটেরিয়াল লেকচার প্রতিযোগিতায় প্রথম, প্রপোজাল প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় প্রথম, টিএনসি গ্র্যান্ড ডিবেট প্রতিযোগিতায় রানারআপ, আইইএম ওয়াটার এয়ারনেস প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ এবং উবার আয়োজিত উবার কনসেপ্ট প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। তিনি ‘এশিয়া গট ট্যালেন্টে’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন পান।
বিএসএন আউটস্ট্যান্ডিং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস অ্যাওয়ার্ড বিষয়ে এম এইচ এম মুবাশশির বলেন, ‘এটা ছিল অনেকটা সারপ্রাইজের মতো। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি। হঠাৎ করেই ঘোষণায় আমার নাম শুনে একটু চমকে গিয়েছিলাম।’
মুবাশশির বিএসএনের আয়োজক হায়দার রাশিক, আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এম এইচ এম মুবাশশিরের জন্ম ময়মনসিংহ। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃষি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে অনার্স, বায়োটেকনোলজিতে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। তার পর মালয়েশীয় সরকারের সম্মানজনক বৃত্তি ‘মালয়েশিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ’ পেয়ে ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ায় বায়োসায়েন্সে এমফিলে ভর্তি হন। তিনি এখন এমফিলের শেষ সেমিস্টারে আছেন।
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এম এইচ এম মুবাশশির বলেন, ‘এখন অনেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ করছে। আমিও তেমনি গবেষণা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ পাশাপাশি চালিয়ে যেতে চাই। দুই ক্ষেত্রেই পৌঁছাতে চাই স্বপ্নের দোরগোড়ায়।’