মহালয়া : দেবীপক্ষের শুরু
শুভ মহালয়া আজ। রাজধানীসহ সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে চণ্ডীপাঠ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসবের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানান সনাতন বাঙালিরা। পঞ্জিকামতে, ঋতু শরতের শেষ দিন অমাবস্যা তিথি। দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে দেবীর আগমনের ক্ষণগণনা শুরু হয়। পূর্বাহ্ণে দেবীর ঘট স্থাপন ও পূজার মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবীকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মহালয়ায় দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। এ ছাড়া মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করা হয়।
আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর বলেন, সমাজে যে অসম শক্তি আছে, তার পতন ঘটুক, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করুক।
শুভ ও অশুভর মধ্যে লড়াই হচ্ছে এবং সারা পৃথিবীতে অশুভ টিকতে পারছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ব্রিটিশ নাইটহুডপ্রাপ্ত মূকাভিনেতা পার্থপ্রতিম মজুমদার।
এ ছাড়া গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, সমাজের যে অশুভ শক্তি, তাদের ধ্বংস করার জন্যই মায়ের আবির্ভাব।
১৪ অক্টোবর পঞ্চমীতে দশভূজা দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। কৈলাসে আবার ফিরবেন পালকিতে। শাস্ত্রমতে, এসবকে অশুভের লক্ষণ বলা হলেও ভক্তকুলের কামনা, দেবী দুর্গা আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে ফুলে-ফসলে ভরে তুলবেন পৃথিবীকে, সারা বিশ্বে বিরাজ করুক শান্তি।