দেশজুড়ে রথযাত্রা

‘নীলাচল-নিবাসায় নিত্যায় পরমাত্মানে, বলভদ্র-শুভাদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমঃ’ এই মহামন্ত্রকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রথযাত্রা উৎসব। দিনভর ছিল বৃষ্টি। কিন্তু তাতেও ভাটা পড়েনি উৎসবে।
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে আজ বুধবার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। সারা দেশেই ও উৎসব পালিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার ভক্ত অংশ নিয়েছে রথযাত্রা উৎসবে।
আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচির মধ্য দিয়ে চলবে রথযাত্রা উৎসব। আগামী ১৪ জুলাই রথ উল্টোদিকে যাত্রা করবে।
সারা দেশেই এ উপলক্ষে নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রথযাত্রা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও দেখা যায় সতর্ক অবস্থানে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন :
বিশ্বজিৎ সাহা, নরসিংদী
উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নরসিংদীতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), শ্রী শ্রী জগন্নাথ বাড়ি ও শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দির কমিটির উদ্যোগে শ্রী শ্রী জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা দেবীর শুভ রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী পৌরসভার সামনে থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পলাশ উপজেলার বরাব গুণ্ডিচা মন্দিরে গিয়ে এই রথযাত্রা শেষ হয়।
রথযাত্রায় এ সময় জেলার হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
৯দিন পর আগামী ১৪ জুলাই পলাশের বরাব গুণ্ডিচা মন্দির হতে উল্টো রথযাত্রা নরসিংদী পৌরসভায় এসে সমাপ্ত হবে।
মোস্তাফিজ আমিন, ভৈরব
সনাতন ধর্ম মতে, জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তাঁর অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
কংস বধ করার পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে চেপে মথুরানগরী পরিক্রম করেছিলেন। সে সময় সব মথুরাবাসী ভগবানের দর্শন লাভ আর প্রণাম, পুষ্প অর্পণের সৌভাগ্য লাভ করে ছিল। বলা হয় এই ঘটনাকে স্মরণীয় করার জন্য রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন।
আজ বুধবার বিকেলে ভৈরবে উৎসবমুখর আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পলিত হয়েছে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। প্রতিবছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এ উৎসব পালন করে থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে আজ বিকেল ৫টায় স্থানীয় গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে রথশোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মন্দিরে ফিরে আসে। রথযাত্রায় শত শত নারী-পুরুষ ভক্তপ্রাণ মানুষের সাথে অংশ নেন গোপাল জিউর মন্দিরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, পৌর কাউন্সিলর মো. আলামিন, বিকাশ চন্দ্র সাহা, চন্দন পাল, রাজীব হালদার, রঘুবীর সাহা, ইন্দ্রজিৎ ভদ্র প্রমুখ।
পরে গোপল জিউর মন্দিরে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে শুরু হয় রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠানমালা। এ সব অনুষ্ঠানের মধ্য ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা
বিশ্বমানবতার শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় মহাধুমধামে অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।
বুধবার বিকেলে শুরু হওয়া রথযাত্রায় শত শত নারী ও পুরুষ অংশ নেন। জেলা মন্দির সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই রথযাত্রা।
শহরের পুরান সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি থেকে কর্মকারপাড়ায় মাসির বাড়ির উদ্দেশে রথযাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রার সাথে যুক্ত হয় ধুলিহর ও ভোমরাসহ কয়েকটি স্থান থেকে আগত জগন্নাথ দেবের রথ। আনন্দঘন পরিবেশে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জগন্নাথদেবের সুসজ্জিত রথ আবার ফিরে যায় মায়ের বাড়ি। একটি রথ শহরের কাটিয়া কর্মকারপাড়া মন্দিরে মাসীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে আগামী ১৪ জুলাই শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পুনর্যাত্রা (উল্টোরথ) অনুষ্ঠিত হবে। রথযাত্রা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ইসকন সভাপতি কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারি, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, নিত্যানন্দ আমিন, সোমনাথ ব্যানার্জি, গোষ্ঠবিহারী মণ্ডল, মহিলা পরিষদ নেত্রী জোসনা দত্তসহ ধর্মীয় নেতারা।
ভজন দাস, নেত্রকোনা
জেলা শহরের বড়বাজারের শ্রী শ্রী নরসিংহ জিউর আখড়ায় প্রাঙ্গণে হাজারো ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) রথযাত্রা উপলক্ষে শহরের সাতপাই এলাকায় নয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে উৎসব প্রাঙ্গণে বসেছে মেলা।
রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলি কীর্তন, আরতি কীর্তন, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।
এম.আর মুর্তজা, মাদারীপুর
টানা বৃষ্টির মাঝেও সকাল থেকে হাজার হাজার নারী ভক্তদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে মাদারীপুরের বিভিন্ন মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে। রথযাত্রা ছাড়াও জেলার সদর উপজেলা, শিবচর সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দিরসহ সব উপজেলার মন্দিরগুলোতে পূজা অর্চনা ছাড়াও কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্দিরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনে নারী ভক্তদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনটি উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নাসির আহমেদ, গাজীপুর
গাজীপুর জেলা শহরের রথখোলায় বুধবার সকালে রথটানের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রথযাত্রা ও রথমেলার উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক মো. এস এম আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, রথমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক ও মণীন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ। রথযাত্রা উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে প্রধান অতিথি, রথ সংশ্লিষ্ট এবং হাজারো পূণ্যার্থী নিয়ে ভক্তি সহযোগে রথ টান দিয়ে রথযাত্রা ও রথমেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে হস্তি ও পালকি সহযোগে দেবতা মাণিক্য মাধবকে রথে অধিষ্ঠান করা হয়। বুধবার রথ টানের মধ্য দিয়ে মাণিক্য মাধব নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়ি যাচ্ছেন। আগামী ১৪ জুলাই উল্টো রথযাত্রায় মাণিক্যমাধবের নিজ বাড়ি ফেরার মধ্য দিয়ে এবারের ৯ দিনব্যাপী রথযাত্রার শেষ হবে। রথযাত্রা উপলক্ষে ২০ দিনব্যাপী রথমেলা শুরু হয়েছে। মেলায় শিশুদের খেলনা, মিষ্টির দোকান, তৈজষপত্র, আসবাবপত্রসহ বাহারি সব জিনিসের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এ ছাড়া মনোরঞ্জনের জন্য মেলায় এসেছে নাগরদোলা, সার্কাস ইত্যাদি। রথমেলায় হাজারো পূণ্যার্থী এবং সব ধর্মের মানুষ অংশ নিচ্ছেন। প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে গাজীপুরের ভাওয়াল রাজারা এই ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী মাণিক্য মাধবের রথযাত্রা ও রথমেলার প্রচলন করেন।
আসাদুর রহমান জয়, নওগাঁ
সকালে শহরের শ্রী শ্রী বুড়া কালীমাতা পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণ থেকে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী আলহাজ রফিকুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর মজনু হোসেন, শ্রী শ্রী বুড়া কালীমাতা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি নিরোধ বরন সাহা চন্দন, সাধারণ সম্পাদক অখিল চন্দ্র প্রমুখ। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষ রথটানায় অংশ গ্রহণ করেন। রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বসেছে রথের মেলা। দোকানিরা সাজিয়েছেন পূজার উপকরণসহ নানান পসরা। জিলাপি, মণ্ডা-মিঠাই তো তার সঙ্গে আছেই।
জাহিদুর রহমান, সাভার
ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথযাত্রা ও মাসব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেলে ধামরাইর কায়েতপাড়া এলাকায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং পায়রা উড়িয়ে এ রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ মালেক।
উদ্বোধন শেষে কায়েতপাড়া থেকে রশি দিয়ে টেনে রথ নিয়ে যাওয়া হয় যাত্রাবাড়ী এলাকায়। উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ জুলাই।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন মিয়া, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী আহমেদ আল জামানসহ হিন্দু সম্প্রাদায়ের কয়েক হাজার মানুষ।
এবার দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুরো রথযাত্রা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ধামরাই এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।
এদিকে সাভারের কাতলাপুর এলাকায়ও রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানেও অংশ নিয়েছে কয়েক হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
আরিচ আহমেদ শাহ্, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে নগরী বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরে চলে শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ, শুরু পূজা, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞানুষ্ঠান।
বিকেলে প্রবর্তক মোড় থেকে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)সহ সব মন্দিরে মহাশোভাযাত্রা শুভ উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ সময় পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত, অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী ও পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারীসহ বিদেশ থেকে আগত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও সুভদ্রা মহারাণীর শুভ রথারোহণ ও মহাশোভাযাত্রা শুরু হয়ে গোলপাহাড়, মেহেদিবাগ, কাজীর দেউড়ী, জামালখান, চেরাগীপাহাড়, আন্দর কিল্লা, লালদীঘির পাড়, নিউমার্কেট প্রদক্ষিণ করে নগরীর জেএমসেন হলে এসে শেষ হয় ।
এ ছাড়া রথযাত্রা উপলক্ষে ডিসি হিলে বিভাগীয় কেন্দ্রীয় ইসকনের আয়োজনে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। শ্রীমদ্ভগবত পাঠ, শ্রী শ্রী রাধামাধব ও জগন্নাথদেবের দর্শন আরতি, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় যজ্ঞানুষ্ঠান, ভাগবতী আলোচনা সভা ও মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়।
এইদিকে নগরীর শ্রী তুলশীধাম, গোলপাহাড় কালী মন্দির, চকবাজার জগন্নাথ কুঠির, নন্দীরহাট শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরসহ নগরী বিভিন্ন কৃষ্ণমন্দির নানা কর্মসূচি পালন করে। দুপুর থেকে বৃষ্টির মধ্যেও নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নরনারী জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরে।
শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বুধবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির হতে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ী গিয়ে শেষ হয়। আগামী ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। এ ছাড়া ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই ৯ দিনব্যাপী ভোর হতে রাত পর্যন্ত শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে উক্ত রথযাত্রা মহোৎসব ও রথমেলা উদযাপিত হবে।
কাজী রাশেদ, চান্দিনা
বুধবার বিকেলে চান্দিনা রাজ কালীবাড়ি থেকে রথটি যাত্রা শুরু করে সাহাপাড়া দশমী ঘাট হয়ে চান্দিনার সিংহ বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় রথযাত্রায় ভক্তদের সঙ্গে অংশ নেন রথ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বকসী, সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা, সদস্য লক্ষ্মণ সাহা, তপন চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী প্রমুখ।