রম্য
ঈদ শপিংয়ে স্বামীরা যা করবেন
ঈদের সুবাস ছড়াতে শুরু করেছে। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঈদ শপিংয়ে। এ রকম অবস্থায় বিবাহিত পুরুষদের জন্য ঈদ শপিং-সংক্রান্ত চারটি অবশ্যকরণীয় এবং একটি বিশেষ করণীয় জানাচ্ছেন হাস্যরসের অবিবাহিত প্রতিবেদক।
করণীয় নং-১
স্ত্রীকে নিয়ে শপিং করতে যাওয়া মানেই পকেটের ওপর ব্যাপক চাপ পড়া। তাই শপিংয়ে যাওয়ার আগেই পকেট ভারী রাখার ব্যবস্থা করুন। নয়তো শপিং করতে গিয়ে হঠাৎ পকেট শূন্য হয়ে গেলে প্রকাশ্যে বউয়ের ঝাড়ি সহ্য করতে হবে। এটা কি আপনার জন্য সম্মানজনক হবে?
করণীয় নং-২
শপিংয়ের জন্য ইফতার-পরবর্তী সময় বেছে নিন। কারণ, বউয়ের মাত্রাহীন শপিং দেখে এবং শপিং ব্যাগ বইতে বইতে আপনার কলজে পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেতে পারে। দিনে রোজা রেখে তখন তো আর পানি পানও করতে পারবেন না। তাই ইফতার-পরবর্তী সময়ই ভালো। তাই না?
করণীয় নং-৩
নিজের পকেটের প্রতি যত্নবান হোন। না, আপনার ‘উনি’ শপিং করবেন, টাকা খরচ হবে, সেটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। কিন্তু ‘উনি’ ছাড়াও শপিংমলের আশপাশে ‘তিনি’ বলে কেউ থাকেন। এই ‘তিনি’ হলেন পকেটমার বা ছিনতাইকারী।
করণীয় নং-৪
বউয়ের লাগামহীন শপিংয়ের কারণে হঠাৎ করে আপনার মাথা চক্কর দিয়ে উঠতে পারে। বেড়ে যেতে পারে প্রেশার। তাই সঙ্গে প্রেশার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ রাখুন। কখন কী কাজে লাগে, তা কি বলা যায়।
বিশেষ করণীয়
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সব স্বামীই বউকে নিয়ে ঈদ শপিং এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু তা সম্ভব হয় না। আপনি যদি শপিং থেকে বাঁচতে চান, তবে কয়েক দিনের জন্য উধাও হয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফোন, ফেসবুক সব বন্ধ করে কোনো ব্যাচেলর বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করুন। আপনার চিন্তায় অস্থির হয়ে বউ এখানে-সেখানে দৌড়াদৌড়ি করে শপিংয়ের কথা ভুলে যাবে।
ঈদের ঠিক আগের রাতে বাসায় ফিরুন। সবাই খুশি হবে এবং কোথায় ছিলেন জিজ্ঞেস করবে। তখন বানিয়ে কোনো একটা গল্প বলে দিন। যেমন—‘আমি এত দিন কোথায় ছিলাম, কিছুই মনে পড়ছে না!’ ব্যস।