কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ পেল সিএসই

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) বিএসইসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির (কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী এই নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের চিন্তা ছিল বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ করা। দুঃখজনক হলেও সত্য আমি যখন উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার, আমাদের মন্ত্রণালয়ের মার্কেট স্টেবল থাকবে না এই অজুহাতে রিজেক্ট করে দিয়েছিল।’
সিএসইর চেয়ারম্যান আফিস ইব্রাহীম বলেন, চলতি বছরেই কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম চালু করতে পারবো আশা করছি।
উল্লেখ্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হলো অনেকটা স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ার কেনাবেচার বাজারের মতো। স্টক মার্কেটে বহু কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করতে শেয়ার বিক্রি করে এবং তা কিনেন বিনিয়োগকারীরা। কমোডিটি এক্সচেঞ্জও তেমনই। তবে এখানে শেয়ার নয়, পণ্য কেনাবেচা হয়। এই পণ্য কেনাবেচা সাধারণ পাইকারি বাজারের মতো নয়। বড় পাইকারি দোকানে ক্রেতা ও বিক্রেতা সরাসরি দর কষাকষি করে পণ্য কেনাবেচা করেন। কিন্তু কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি পণ্য কেনাবেচার সুযোগ নেই। অনেকটা শেয়ারের মতো বিক্রেতার দেওয়া পণ্যের সার্টিফিকেট বা সনদ বিক্রি হয়। মান সনদ দেখেই পণ্যের গুণগত মান বিষয়ে নিশ্চিত হন ক্রেতা এবং অন্য দেশে থেকেও শেয়ার কেনাবেচা করেন।