৩৯০ টাকা বেড়ে লিন্ডে উত্থানে শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বাংলাদেশর গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩৯০ টাকা ৪০ পয়সা। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় এক হাজার ৫৪৭ টাকা ৩০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল এক হাজার ১৫৬ টাকা ৯০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩৯০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করে পুঁজিবাজারে ইতিহাস সৃষ্টি করে লিন্ডে বাংলাদেশ। ঘোষণা মতে, কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ৪১০ টাকা করে পাবেন।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের (২০২৪ সাল) দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা পাঁচ পয়সা। আগের বছরের (২০২৩ সাল) একই সময়ে (এপ্রিল-জুন) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৯ টাকা ১৯ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন) সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২১ টাকা ৫৬ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০৮ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ২০২৩ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য এক হাজার ৫৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৫৪ পয়সা। সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল ৬৩ টাকা ৭২ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ টাকা ৮০ পয়সা।
১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় লিন্ডে বাংলাদেশ। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০টি। রিজার্ভে রয়েছে ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর বাড়ার তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে লিবরা ইনফিউশনের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ, ন্যাশনাল টির (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ফার ইস্ট লাইফের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিমের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএইচ ইস্পাতের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৩ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, উসমানিয়া গ্লাস শিটের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশের দর উত্থান হয়।