দর কমলেও লেনদেনের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৪৮ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিকে লেনদেন শীর্ষে থাকলেও শেয়ারটির দর কমেছে দুই টাকা ৯০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টেবর) ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৬৪ টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে দুই টাকা ৯০ পয়সা বা চার দশমিক ৫০ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির ১১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানিতে দুই হাজার ১৩১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৬ আগস্টের লেনদেন শেষে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু গত ২৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে শেয়ার প্রতি দর দাঁড়িয়েছিল ৭০ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাস ১৯ দিন বা ৩৫ কর্মদিবসে ব্যাংকটির শেয়ারের দর বেড়েছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ১১৬ শতাংশ। আবার গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩৯ টাকা ২০ পয়সা। যেখানে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে শেয়ার প্রতি দর দাঁড়ায় ৭০ টাকা ৪০ পয়সায়। সেখানে মাত্র ১২ কর্মদিবসে ব্যাংকটির শেয়ারদর বেড়েছিল ৮০ শতাংশ। অবশ্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিনশেষে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ৬৪ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু গত ৩ অক্টোবর দিনশেষে শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি দর কমেছে দুই টাকা ৯০ পয়সা। এই ধরনের কমলেও গেল সপ্তাহে শেয়ারটি লেনদেন শীর্ষে উঠে এসেছে।
কোম্পানিটির অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চলতি বছরের (২০২৪ সাল) দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৯১ পয়সা। গত দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন) সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ছয় পয়সা। গত সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর, ২০২৩ সাল) জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল তিন টাকা ৯৫ পয়সা। সমাপ্ত বছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল নেগেটিভ ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। আর সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা।
ডিএসইর সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। রিজার্ভে রয়েছে পাঁচ হাজার ৬৭৪ কোটি সাত লাখ টাকা।