২৫ শতাংশ দর বেড়ে গেইনারের সেরা বিআইএফসি
গত সপ্তাহে (১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর) লোকসানে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ২৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ১১ টাকা ৪০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে ৯ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা বা ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ২৩ কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ টাকা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের (২০২৩ সাল) তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে বিআইএফসির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা সাত পয়সা। আগের বছরের (২০২২ সাল) একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। বছরটির প্রথম ৯ মাস বা তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে তিন টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল পাঁচ টাকা আট পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ তিন টাকা ৯ পয়সা। ২০২৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ১১৭ টাকা ৮৫ পয়সা।
এর আগে গত ২০২২ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন লভ্যাংশ দেয়নি। ওই বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল সাত টাকা ৫৮ পয়সা। শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল দুই টাকা ১১ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল নেগেটিভ ১১৪ টাকা ৪২ পয়সা।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বাংলাদেশ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৪টি। নেগেটিভ রিজার্ভে রয়েছে এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।