২৯ শতাংশ বেড়ে গেইনারের সেরা নিউ লাইন ক্লোথিংস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নিউ লাইন ক্লোথিংস গত সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিউ লাইন ক্লোথিংসের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ১২ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহের ৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ৭০ পয়সা বা ২৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৫ টাকা। যা আগের সপ্তাহের ৬ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল ৭৩ কোটি ৮২ লাখ ছয় হাজার ৯১০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ২১ কোটি ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৫ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার অডিটেড সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়ায় পাঁচ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। এদিক পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে, ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় নিউ লাইন ক্লোথিংস। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা সাত কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৫০টি। রিজার্ভে রয়েছে ১০৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ৩০ জুনে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬৯ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণ ২১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়েছিল। গত ২০২৩ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫১ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার রয়েছে।