লেনদেনের শীর্ষে রবির শেয়ার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/15/robi.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা ৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তায় (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক সপ্তাহটিতে শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। যা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৪৭১ কোটি ৪১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৫ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রবি আজিয়াটা শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৯ টাকা ৭০ পয়সা। আগের সপ্তাহের ৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৭০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫০৪ কোটি ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৯২ টাকা। যা আগের সপ্তাহের ৬ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল ১৫ হাজার ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬ টাকা।
গেল সপ্তাহে ৩৯৮টি কোম্পানির দুই হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সেখানে সপ্তাহটিতে রবি আজিয়াটা একাই ৫৩ কোটি ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির অডিটেড সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। মানে পিই রেশিও ৪০ এর ওপরে গেলে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও যতো বাড়বে ঝুঁকির মাত্রা ততো বাড়তে থাকবে।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, রবি আজিয়াটা গত ২০২৪ সমাপ্ত হিসেব বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন আগামী সোমবার বিকেল তিনটায় প্রকাশ করবে। অপরদিক কোম্পানিটির গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছরের (২০২৩) তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২০ পয়সা।
গত বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭৭ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিক কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩৩ পয়সা। গত বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল পাঁচ টাকা ৪৭ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫১ পয়সা। এর আগের ২০২৩ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রবি আজিয়াটা। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ছয় হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫টি। রিজার্ভে রয়েছে এক হাজার ৪২৯ কোটি তিন লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এক দশমিক ৯৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আট দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৭৬৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৩৮৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।