চলতি দশকে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ

Looks like you've blocked notifications!

চলতি দশকের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে আসেছি আমরা। অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এখন গোটা দশকের হিসাবনিকাশ চলছে প্রযুক্তি দুনিয়াতেও।

সম্প্রতি এই দশকের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপলিকেশনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মোবাইল মার্কেট ডেটা এবং অ্যানালিটিকস প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপ অ্যানি’। ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপগুলো বেশি ডাউনলোড হয়েছে তার প্রথম ১০টির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

চলুন এক নজরে দেখে নেই সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপগুলোর তালিকা:

১. ফেসবুক: তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। যথারীতি তালিকার সবার ওপরে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মার্ক জাকারবার্গের আবিষ্কারকে। অ্যাপের যুগ শুরু হওয়ার পর ফেসবুকের আরো বিস্তার ঘটে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৫ কোটিরও বেশি। যা প্রতিদিনেই বাড়ছে।

২. ফেসবুক মেসেঞ্জার: হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে চালু হয় অ্যাপটি। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৩. হোয়াটসঅ্যাপ: ফেসবুকের পর বহুল ব্যবহৃত অ্যাপটির নাম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিও, ছবি ও ডকুমেন্ট ফাইলও পাঠানো যায় এর মাধ্যমে। প্রতিদিন বাড়ছে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা। প্রতিনিয়িত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সব ফিচার।

৪. ইনস্টাগ্রাম: তারকাদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে ফেসবুকের এই অ্যাপটি। ২০১০ সালে চালু হয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা যায়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলানায় ইনস্টাগ্রামে ছবির মান অনেক ভাল হয়। ২০১৮ সালে জুনে ইনস্টাগ্রামের মাসিক ব্যবহারকরীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

৫. স্ন্যাপচ্যাট: ২০১১ সালে বাজারে আসে এই অ্যাপ। মজার মজার ছবি শেয়ার ও এটিডিং করা যায় এই অ্যাপে।

৬. স্কাইপ: তালিকার ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক এই অ্যাপ্লিকেশনটি। মূলত ভিডিও ও ভয়েস কলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় অ্যাপটি। তবে একই ধরনের অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের থেকে বর্তমানে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে স্কাইপ।

৭. টিকটক: ২০১৭ সালে বাজারে আসার পর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বাইটড্যান্স নামক এক প্রতিষ্ঠানের তৈরি এ অ্যাপটি রয়েছে তালিকার সপ্তম স্থানে।

৮. ইউসি ব্রাউজার: চীনা প্রতিষ্ঠান আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপটি তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার কিছু দেশে গুগল ক্রোমের থেকেও বেশি ব্যবহার করা হয় ইউসি ব্রাউজার।

৯. ইউটিউব: গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চালু হয় ইউটিউব। তারপর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।

১০. টুইটার: ২০০৬ সালে চালু হয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের যেকোনো পোস্ট। এছাড়া ছবিও পোস্ট করা যায়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অনেকেই টুইটার ব্যবহার করছেন।

এই তালিকা দেখলে বলতেই হবে, এই দশক ছিল সত্যিকার অর্থেই ‘সোশ্যাল মিডিয়ার দশক’।