নতুন নামে কোম্পানি করে ব্র্যান্ডিংয়ে যাচ্ছে ফেসবুক!

নতুন ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ইনকরপোরেশন। প্রযুক্তি বিষয়ক বিখ্যাত ব্লগ দ্য ভার্জের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ কথা জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, ফেসবুক অ্যাপ ও অন্যান্য সেবা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে, ফেসবুক ইনকরপোরেশনের আওতায় ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো শতকোটি ব্যবহারকারীর প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে, সেখানে নতুন নামের কোম্পানির আওতায় ফেসবুকসহ এসব প্রতিষ্ঠান চলবে। অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন নামের প্যারেন্ট কোম্পানির আওতায় একইভাবে এরই মধ্যে গুগল ব্যবসা পরিচালনা করছে।
দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘মেটাভার্স’ খাতে কার্যক্রম বাড়ানোর অংশ হিসেবে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে ফেসবুক। বাস্তব জীবনকে ভার্চুয়ালে জগতে আরও প্রাণবন্ত আকারে হাজির করার বিষয়টিকে বোঝাতে ‘মেটাভার্স’ কথাটির ব্যবহার হয়ে থাকে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৮ অক্টোবর ফেসবুক ইনকরপোরেশনের কানেক্ট কনফারেন্সে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
গত জুলাইয়ে জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে মানুষজন আমাদের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি থেকে একটি মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর হতে দেখবেন। বিভিন্নভাবে মেটাভার্সই আগামী দিনের সামাজিক প্রযুক্তি হয়ে উঠবে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নতুন ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা (ফেসবুক) গুজব বা ধারণাপ্রসূত কথার ওপর মন্তব্য করতে রাজি নয়।

এমন এক সময়ে ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ফেসবুক, যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকারকর্মীদের কাছ থেকে তুমুল চাপের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউজেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে হাজার হাজার নথি দিয়েছেন। এসব নথিতে কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণে ফেসবুকের গাফিলতি এবং ফটোশেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ফলে মানসিক সমস্যার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।