স্টার্টআপ বাংলাদেশকে ৪৩ কোটি টাকা দিচ্ছে আইডিয়া প্রকল্প

Looks like you've blocked notifications!
স্টার্টআপ বাংলাদেশকে ৪৩ কোটি টাকা দিচ্ছে আইডিয়া প্রকল্প। ছবি : সংগৃহীত

স্টার্টআপদের নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সুদূরপ্রসারী দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে নানা উদ্যোগ। এরই মধ্যে আইডিয়া প্রকল্পের একটি দক্ষ সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রি-সিড পর্যায়ে ১৭৯টি ইনোভেটিভ স্টার্টআপকে অনুদান প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সিড ও গ্রোথ পর্যায়ের স্টার্টআপদের ইক্যুইটি অর্থায়নের জন্য আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গত বছরের মার্চে গঠিত হয় দেশের সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। এই কোম্পানির মাধ্যমে স্টার্টআপদেরকে সিড স্টেজে সর্বোচ্চ এক কোটি এবং গ্রোথ স্টেজে প্রতি রাউন্ডে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৯% ইক্যুইটি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিকে সিড ও গ্রোথ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে আইডিয়া প্রকল্প থেকে ৪৩ কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্টার্টআপদের ইক্যুইটি বিনিয়োগের লক্ষ্যে আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃক তিনটি ধাপে যথাক্রমে ৭ কোটি, ১০ কোটি এবং ৬ কোটি অর্থাৎ সর্বমোট ২৩ কোটি টাকা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিকে প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে উক্ত কোম্পানিকে বাকি আরও ২০ কোটি টাকা প্রদান করবে এই প্রকল্প।

সম্প্রতি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া প্রকল্পের সভাকক্ষে সরকারের যুগ্ম সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রাকিব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিকে তৃতীয় ধাপের ৬ কোটি টাকার চেক প্রদান করেন। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে এই চেকটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সেক্রেটারি এ বি এম মনিরুল ইসলাম।

একইভাবে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে নানাভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রকল্প। স্টার্টআপদের অর্থায়নের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ, মেন্টরিংসহ দেশি ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিংয়ের জন্যও এ প্রকল্প বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।