৯৯৯-এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে : পলক

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা। ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারীদের সাইবার দুনিয়ায় সুরক্ষিত রাখতে এবং  অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবার হাইজিন, অ্যাওয়ারনেস ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে।

গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে “জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ফিউচার বাংলাদেশ : ভয়েজেস ফ্রম ইয়াং জেনারেশনস” শীর্ষক বিশেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দলনেতা ও সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে এখন যে কেউ ন্যশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ কল সেন্টারে ফোন করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য অথবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে কোনো পরামর্শ, সুপারিশ কিংবা আইনের আশ্রয় সহজেই নিতে পারে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কল সেন্টার ৯৯৯-এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে আমরা আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন করেছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ চাইলে তাদের আমরা দেশজুড়ে সাইবার সিকিউরিটি ও সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ তরুণদের আইসিটিতে সংযুক্ত করতে ২০১০ সালে ইউনিয়ন সার্ভিস সেন্টর স্থাপনের সময় একজন ছেলের সঙ্গে মেয়ে উদ্যোক্তা নিয়োগের যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেকার সমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানো ও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ২০০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা-প্রশিক্ষণ নিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে দেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই প্রায় ৫০০ মিলিয়নের বেশি এক্সপোর্ট আর্নিং করছে। করোনাতেও আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ করেছে। শিপাওয়ার প্রকল্পে ১৩ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। এবার ২৫০ কোটি টাকার হার প্রকল্পের অধীনে আরও ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।