ভবিষ্যতের আবাস ইকোক্যাপসুল

Looks like you've blocked notifications!
বসবাসের প্রায় সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ক্যাপসুলগুলো। ছবি : ম্যাশেবল।

সায়েন্সফিকশন ছবিগুলোতে হরহামেশা ইকোক্যাপসুল দেখা গেলেও বাস্তবজীবনে এ রকম বাড়িতে বসবাস করার ঘটনা এখনো দেখা যায়নি। তবে এবার ইউরোপীয় এক কোম্পানি দাবি করছে, বায়ু ও সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করে এ রকম একটি পরিবেশবান্ধব ক্যাপসুল  হতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ ঠিকানা।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, বসবাসের প্রায় সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ক্যাপসুলগুলো। এতে রয়েছে বায়ু ও সৌরশক্তি দ্বারা চালিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি। আছে পানি পরিস্রাবণের সুব্যবস্থা। ছোট আকারের এই ক্যাপসুল যেকোনো জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে। নিজের বাড়ি থেকে দূরে গেলেও আপনি পেতে পারেন তার সব রকম সুবিধা।

স্লোভাকিয়াভিত্তিক ‘নাইস আর্কিটেক্টস’ নামের কোম্পানি এটি তৈরি করেছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ১২০ বর্গফুটের এক একটি ইকোক্যাপসুলে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সহজেই থাকতে পারবে একসাথে।

প্রতিটি পডে আছে একটি করে বিছানা, রান্নাঘর, বাথরুম, চেয়ার-টেবিলসহ ছোট একটি কাজ করার জায়গা।

বায়ু ও সৌরশক্তিতে চলা ক্যাপসুলটিতে থাকবে একটি টার্বাইন ও সোলার সেল, যা প্রতি ঘণ্টায় একে নয় হাজার ৭৪৪ ওয়াট শক্তি জোগাবে। বৃষ্টির পানি ও শিশির সংগ্রহ করে তা পরে ব্যবহার করার সুবিধাও থাকছে এই ক্যাপসুলে। নাইস আর্কিটেক্টস দাবি করছে, এটি বছরের যেকোনো সময়েই ব্যবহার করা যাবে।

এর দাম সম্পর্কে এখনো কোম্পানিটি কিছু ধারণা না দিলেও জানিয়েছে, এই বছরের শেষে তারা আগাম অর্ডার নেওয়া শুরু করবে। তারা আশা করছে ২০১৬ সালের প্রথমার্ধেই প্রথম দফা শিপিং শেষ করতে পারবে। তবে দেশের দূরত্ব ভেদে এর দাম কম-বেশি হবে।

এখনো জনসম্মুখে এই ‘জাদুকরি’ পণ্যটি প্রদর্শিত না হলেও নাইস আর্কিটেক্টস আশা করছে এই সপ্তাহের শেষে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিতব্য ‘পাইওনিয়ার ফেস্টিভালে’ এটি প্রদর্শন করা হবে। বছরের শেষের দিকে স্লোভাক ন্যাশনাল প্যাভিলিয়নেও এটি প্রদর্শনের কথা রয়েছে।